প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর শহর রক্ষার স্থায়ী বাঁধ প্রকল্পের তৃতীয় দফা সার্ভে চলছে ॥ সব ঠিক থাকলে কাজ শুরু ২০২২ সালে
নতুন ডিপিপিতে থাকবে মিনি কক্সবাজারসহ আশপাশের ডুবোচর খনন
চাঁদপুর শহরকে স্থায়ীভাবে রক্ষায় শুধু বাঁধ নয়, আরো অন্য যা কিছু করার প্রয়োজন তা-ই করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। আর এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী। সে মোতাবেক বিশেষজ্ঞ টিমের সার্ভে চলছে। এই টিমের সার্ভের কাজের মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের নদী সীমানায় কোথায় কোথায় ডুবোচর রয়েছে সেগুলো শনাক্তকরণ, মিনি কক্সবাজারের আশপাশে ডুবোচর শনাক্তকরণ, এসব ডুবোচর খনন করা এবং শহর রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের নকশা প্রনয়ণ করা। এ সব সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে নতুন ডিপিপি সাবমিট করা হবে। আর এটি হবে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের তৃতীয় দফা সংশোধিত ডিপিপি। এই ডিপিপি পাস হওয়ার পর ডুবোচর খননসহ শহর রক্ষার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালে কাজ শুরু হতে পারে।
|আরো খবর
এসব তথ্য জানালেন চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল। তিনি গতকাল রোববার চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিলের সাথে পরে এ প্রসঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ২০১৯ সালে যখন পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়, তখন পুরাণৃবাজার ও নতুনবাজার শহর রক্ষা বাঁধটি স্থায়ী বাঁধ দেয়ার জোরালো দাবি উঠে। সে দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের পরামর্শক্রমে একটি ডিপিপি তৈরি করা হয়। এই ডিপিপির আলোকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের মার্চে একটি বিশেষজ্ঞ টিম করে দেয়। এই বিশেষজ্ঞ টিমের সার্ভে অনুযায়ী ৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়। এর আলোকে দ্বিতীয়বারের মতো ডিপিপি তৈরি করে সেটি সাবমিট করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালে যখন ‘মিনি কক্সবাজার এবং বেশ কিছু ডুবোচর পদ্মা মেঘনার পানি স্বাভাবিক প্রবাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে’ এমন বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টিতে আসে, তখন আবার নতুন করে সার্ভে করার জন্যে বলা হয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে। এখন সেই বিশেষজ্ঞ টিমের ম্যাথমেটিক্যাল সার্ভে ও ফিজিক্যাল স্টাডিাসহ অন্যান্য সার্ভে চলছে। এই সার্ভের মধ্যেই মিনি কক্সবাজারসহ সকল ডুবোচর রয়েছে। এই সার্ভে রিপোর্টের আলোকে নতুন করে ডিপিপি তৈরি করা হবে। তৃতীয় দফা ডিপিপি সাবমিট করার পর প্রকল্প পাস হলে এরপর কাজ শুরু হবে। তাও সেটি ২০২২ সালের শেষ দিকে হতে পারে। তাই বলা যায়, আগামী বর্ষাও আমাদের এভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
এভাবেই চাঁদপুর শহর রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বর্তমান কাজের অবস্থান তুলে ধরলেন চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রেফাত জামিল। তিনি আরো জানান, এখন নদীর পানি নামার সময় ভাঙ্গন দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তিনি জানান, আমাদের ১০ হাজার জিওব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে, ৪ হাজার খালি ব্যাগও রয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনে আরো ১৬ হাজার বস্তা জোগাড় করা যাবে।