প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
ঘূর্ণিঝড়ে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি
শহর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে, নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কায় আমাদের আর থাকতে হবে না
কাজের মান নিয়ে ব্যত্যয় ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা
সমাজকল্যাণমন্ত্রী এবং চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, যেকোনো দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার রয়েছে। চাঁদপুর শহর রক্ষায় স্থায়ী বাঁধের যে ৮২৭ কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, এই কাজ যেনো সর্বোচ্চ ভালো মানের হয় এবং সঠিক সময়ের মধ্যে হয় তা নিশ্চিত করা হবে। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে সমস্ত মানুষকে সম্পৃক্ত করা হবে। কাজের মান নিয়ে কোনো জায়গায় ব্যত্যয় ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে জানাবেন, ব্যবস্থা নেব।
তিনি ১৫ জুন শনিবার বিকেলে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত পুরাণবাজার হরিসভা এলাকা পরিদর্শনকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এই কথা বলেন।
মন্ত্রী সম্প্রতি চাঁদপুরের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে মেঘনা নদীর ক্ষতিগ্রস্ত ওই এলাকা সরজমিনে দেখার জন্য আসেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় আমাদেরকে নদী ভাঙ্গন রোধে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ ১৯৭২ সালে হয়েছিলো। এই বাঁধে প্রতিবছর সংস্কার কাজ হয়। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নেতৃত্বে একনেকের সভায় ৮২৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। শহর রক্ষা বাঁধের সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আশাকরি ২০২৭ সালের মধ্যে কাজটি পুরোপুরি শেষ হবে। এই কাজ শেষ হলে একেবারে চাঁদপুরের এই মাথা থেকে সেই হাইমচরের জালিয়ারচর পর্যন্ত পুরোটাই স্থায়ী বাঁধ হয়ে যাবে। আমাদেরকে শহরে নদী ভাঙ্গন আশঙ্কায় আর থাকতে হবে না। শহর রক্ষাবাঁধ যে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল সে জন্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নতুন প্রকল্প দিয়েছেন এবং ৮২৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে এখানে স্থায়ী বাঁধ হয়ে যাবে। আমরা নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাবো।
এ সময় এলাকাবাসী এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ আলম মিল্টন, হাসান ইমাম বাদশা, মোঃ আইয়ুব আলী বেপারী, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, যুবলীগ নেতা শেখ নজরুল ইসলাম বাদল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডঃ হেলাল হোসাইন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা রেজওয়ানুর রহমান রিজু, যুবলীগ নেতা আঃ গণি, জিয়াউল আমিন দীপু, চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মহসীন আলম, পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজীব শর্মা, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মানিক মাঝি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিনসহ আরো অনেকে।
এর আগে মন্ত্রী পুরাণবাজার ম্যারকাটিজ রোডে যান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ডেঙ্গু খানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে সান্ত¡না দেন। সম্প্রতি পুরাণবাজারে সংঘর্ষে আঃ মজিদ খান ডেঙ্গুর ছেলে আল-আমিন খান নিহত হয়।