শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে এক সপ্তাহে ২১ হাজার মুরগির মৃত্যু ॥ পথে বসছে খামারিরা
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

এক সপ্তাহের মধ্যে ৫টি পোল্ট্রি খামারের প্রায় ২১ হাজার মুরগির মৃত্যুর ঘটনায় পথে বসতে চলেছে ওইসব মুরগির খামারিরা। খামারিরা জানান, এসব মুরগি মারা যাওয়ায় তারা অন্তত ২৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের নিকট থেকে ঔষধ এনেও মুরগিগুলো রক্ষা করতে পারেন নি তারা। ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঘটনা এটি। খামারিরা রাণীক্ষেত ও অজ্ঞাত রোগের কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি করলেও ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তা নিশ্চিত করেন নি।

জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম হাঁসা গ্রামে খাজে আহমেদ গাজীর মালিকানাধীন মেসার্স আল আকসা পোল্ট্রি এন্ড মৎস্য খামারের তিনটি শেডে ১৪ হাজার ও পাশেই খোরশেদ গাজীর মালিকানাধীন গাজী পোল্ট্রি খামার নামে দুটি খামারে ৭ হাজার মুরগি ছিলো।

সরেজমিন গেলে আল আকসা পোল্ট্রি এন্ড মৎস্য খামারের তত্ত্বাবধানকারী হুমায়ূন গাজী ও খোকন গাজী জানান, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উক্ত তিনটি খামারের প্রায় ১৪ হাজার মুরগি রাণীক্ষেত ও বার্ডফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। পাশেই মারা যাওয়া মুরগিগুলোকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এ সময় সর্বশেষ ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর মারা যাওয়া কয়েক হাজার মুরগি মাটি চাপা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

অন্যদিকে গাজী পোল্ট্রি খামারের মালিক খোরশেদ গাজী জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি পোল্ট্রি খামারের ব্যবসা করে আসছেন। তার দুটি পোল্ট্রি ফার্মের মধ্যে একটি তার নিজের ভূমিতে ও অপরটি ভাড়া নেয়া ভূমিতে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাণীক্ষেত ও অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে তার ২টি পোল্ট্রি খামারের প্রায় ৭ হাজার মুরগি মারা গেছে। সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর তার প্রায় দেড় হাজার মুরগি মারা যায়। মুরিগগুলো রক্ষা করতে কুমিল্লাসহ নানা স্থান থেকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র আনলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি।

স্থানীয় লোকজন জানান, খাজে আহমদ এক সময় প্রবাসে ছিলেন। প্রায় ৮/৯বছর পূর্বে দেশে ফিরে গড়ে তোলেন মেসার্স আল আকসা পোল্ট্রি এন্ড মৎস্য খামার নামের প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে তার ৩টি পোল্ট্রি খামারের সকল মুরগি মারা যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। এমতাবস্থায় বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও ও সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নেয়া টাকার কিস্তি কিভাবে পরিশোধ করবেন এ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

একই অবস্থা খোরশেদ গাজীর। তিনি জানান, এই খামার পরিচালনা করতে গিয়ে নিয়েছেন বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও ও সমবায় সমিতি থেকে ঋণ। এখন সর্বস্ব হারিয়ে তিনি চোখে-মুখে সর্ষে ফুল দেখছেন। তাই ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করলে হয়তোবা তারা ব্যবসাটি পুনরায় চালু করতে পারবেন।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফরিদগঞ্জের প্রাণিসম্পদ বিভাগে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ডাঃ জুলফিকার আলীকে পাওয়া যায়নি। তবে উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সংকর চন্দ্র সমাজপতি জানান, বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে রোগ নির্ণয় করে খামারিদের নির্দেশনা দেয়া হবে। তবে মুরগিগুলো কোন্ রোগে আক্রান্ত হয়েছে তা তিনি এই মুহূর্তে নিশ্চিত নন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়