হাজীগঞ্জে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এক নারী ও ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেন মধ্য বয়স্ক ১ নারী ও ২ শিশু।

মৃতরা হলেন : হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১২নং ওয়ার্ডের রান্ধুনীমুড়া গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির মনোয়ার হোসেনের ছোট মেয়ে খাদিজা আক্তার (৩), দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের কাপাইকাপ মিজি বাড়ির মাইশা আক্তার (২) ও বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের মোল্লাডহর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির মৃত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী শিরিন বেগম (৫০)। এর মধ্যে মাইশা আক্তার খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে মারা যায়। সে মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাকরা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।

জানা যায়, পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়া গ্রামে আড়াই বছরের শিশু খাদিজা আক্তার খেলার সময় পরিবারের অগোচরে বাড়ির পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায় তাকে পানিতে ভাসতে দেখেন পরিবারের লোকজন। এ সময় দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের কাপাইকাপ গ্রামে ২ বছর বয়সী মাইশা আক্তার খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে পুকুরে জাল বেড় দিয়ে মাইশার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের শিরিন বেগম দুপুরের রান্না শেষে পুকুরে গোসল করতে যান। দীর্ঘক্ষণ তিনি ঘরে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন পুকুরে গিয়ে তার মরদেহ পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা মৃতদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিরিন বেগম মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

পানিতে ডুবে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আহমেদ তানভির হাসান বলেন, নিহতদের হাসপাতালে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, নিহতদের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় এবং লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।