শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস, প্রস্তুত হচ্ছে চাঁদপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস, প্রস্তুত হচ্ছে চাঁদপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

‘১২ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে’ এমন বিষয়টি মাথায় রেখে চাঁদপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রস্তুতি কাজ শুরু করে দিয়েছে। স্কুল ভবন, ক্লাস রুম, স্কুল মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি কাজ পুরোদমে চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এ কাজ তদারকি করছেন। গতকাল চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্কুল ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেলো।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপুর হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেলো এর শ্রেণিকক্ষ প্রস্তুত করার কাজ প্রায় শেষ। ঝাড়ু দেয়া থেকে শুরু করে ধোয়া-মোছা সব কিছুই করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাস রুম জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এ সময় দেখা গেলো চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা সাফী বন্যাসহ স্কুলের প্রত্যেক রুমে রুমে গিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ দেখছেন।

প্রধান শিক্ষক জানালেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের ঘোষণা অনুযায়ী তাঁরা ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল চালু করার পুরোপুরি প্রস্তুতি তারা নিয়ে রেখেছেন। এমনকি শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করতে পারে সে ব্যবস্থাও ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ করে ফেলেছে। যেমন মূল্যবান দুটি ‘সেন্সর হ্যান্ড স্যানিটাইজার এন্ড টেম্পারেচার রিডার’ কিনেছেন, যেটির নিচে হাত রাখলেই হাতে অটোমেটিক স্যানিটাইজারের তরল পদার্থ পড়বে এবং একই সাথে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় হয়ে যাবে। এই দুটি অটোমেশিন স্কুল ভবনে প্রবেশ করার গেটের ভেতরে একটা এবং উপরে ওঠার সিঁড়ির গোড়ায় একটা থাকবে। শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা এ দুটির দ্বারা নিজেদের হাতকে জীবাণুমুক্ত করবে এবং শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করবে। এছাড়া বড় সাইজের জীবাণুনাশক স্প্রে ক্রয় করা হয়েছে, যেটি দিয়ে প্রতিদিন রুম স্প্রে করা হবে। আর একাধিক বড় সাইজের পাপোষের ব্যবস্থা করা হয়েছে যেগুলোতে পানি এবং ব্লিচিং পাউডার দেয়া থাকবে। এই পাপোষে জুতা পরিষ্কার করে সবাই স্কুলে ঢুকবে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের অভিভাবককে বলে দেয়া হবে যাতে বাচ্চাদের মাস্ক পরিয়ে স্কুলে পাঠায়। তারপরও কোনো শিক্ষার্থী মাস্ক ছাড়া স্কুলে চলে আসলে তাকে স্কুল থেকে মাস্ক দেয়া হবে।

সপ্তাহে শ্রেণি বিন্যাস বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানান, অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু পঞ্চম শ্রেণির অর্থাৎ সমাপনী পরীক্ষার্থীদের ক্লাস প্রতিদিন হবে। এছাড়া প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত এক শ্রেণির সপ্তাহে একদিন করে দুই বিষয়ের ক্লাস হবে। এদের ক্লাস শেষ হলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ঢুকবে। সপ্তাহে একদিন রাখা হবে পুরো স্কুল পরিষ্কার করার জন্যে। আর ক্লাসে এক টেবিলে জেড (ত) সিস্টেমে শিক্ষার্থীদের বসানো হবে। যাতে একজনের সাথে আরেকজনের দূরত্ব বজায় থাকে। ক্লাসের সময়সূচির বিষয়ে তিনি বলেন, অধিদপ্তর থেকে এখনো তা জানানো হয়নি। আমাদের জানানো হলে সাথে সাথেই অভিভাবকদের জানিয়ে দেয়া হবে এবং স্কুলের সামনে বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হবে।

এমনিভাবে শহরের আরো কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েও দেখা গেলো প্রস্তুতির কাজ চলছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়