প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
হাইমচরে সপ্রাবির শিক্ষকদের মানববন্ধন
বৈষম্য নিরসনে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতিসহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে হাইমচরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন শিক্ষকগণ। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের সময় উপজেলা পরিষদ সম্মুখে প্রাথমিক শিক্ষকদের 'প্রাণের দাবি' বাস্তবায়নের জন্যে এ মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি হাইমচর উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক নিঃশেষ নারায়ণের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, নির্বাহী সম্পাদক মানিক মিয়া ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য রেখে কখনো বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ হবে না। বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে সরকার বাহাদুরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনারা প্রাথমিক শিক্ষকদের দিকে তাকান। শিক্ষকদের দিকে সুনজর না দিলে কখনো শিক্ষায় উন্নতি লাভ করবে না। দেশের শিক্ষার অগ্রসরতা বাধাগ্রস্ত হবে। শিক্ষকরা মানসিকভাবে চাপে আছে, তাদেরকে চাপমুক্ত করতে হবে। ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডিউটি করে আমাদের জন্যে প্রতিদিনের টিফিন ভাতা হিসেবে ৩০ দিনে মোট ২শ’ টাকা বরাদ্দ। যা দৈনিক ৬ টাকা। এটা আমাদের জন্য অনেক লজ্জার বিষয়। টিফিন ভাতা হয় বৃদ্ধি করেন, না হয় বন্ধ করে দেন। আমরা চাইলেই স্কুল সময়ে মানববন্ধন করতে পারতাম। কিন্তু না, স্কুল সময় শেষ করে আমরা মানববন্ধন করছি। যাতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের কোনো সমস্যা না হয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্যে রাস্তায় দাঁড়িয়েছে। আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে কেন্দ্র ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরও বড় ধরনের আন্দোলনের ডাক দিবো। এবার আমরা দাবি আদায়ের জন্যে রাস্তায় নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি হাইমচর উপজেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি ইকবাল হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক হেলাল মিয়া, মজিবুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফারজানা শাহীন, সহ-সম্পাদক ফাতেমা বেগম, কামাল হোসেন, জাকারিয়া স্বপনসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ।