শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ইউপি চেয়ারম্যান শামীম খানের প্রশ্রয় পাওয়া

বিষ্ণুপুরের মাদক ব্যবসায়ীরা এখনো সক্রিয়

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
বিষ্ণুপুরের মাদক ব্যবসায়ীরা এখনো সক্রিয়

বালুখেকো সেলিম খানের দোসর ছিলেন বিষ্ণুপুরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন শামিম খান। তারই কাছের বন্ধু ১নং ওয়ার্ডের মনোহরখাদী গ্রামের স্পেন প্রবাসী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বরকন্দাজ ওরফে টাইগার। তার সখ্যতায় সরকারি টাকায় একক বাড়ির জন্যে ব্রিজ করে দিয়েছেন নাছির উদ্দিন শামীম খান।

এছাড়াও মনোহরখাদী গ্রামে আধিপত্য বজায় রাখার জন্যে একটা গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। তার ছোট ভাই আবুল কাসেম বরকন্দাজ অনিক ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার চাচাতো ভাই সাবেক মেম্বার খোরশেদ বরকন্দাজ ও আবুল প্রধানীয়া মিলে সরকারি খাস জমি দখল করেন। আবুল প্রধানীয়া অন্যের পুকুর দখল করেন। খোরশেদ বরকন্দাজ অন্যের জমি দখল করেন। এসব করায় তাদেরকে এলাকার কিছু লোক প্রশ্রয় দেয়। কাসেম ও সাইফুল এবং খোরশেদ বরকন্দাজ মিলে জেলেদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করতো।

ইউপি চেয়ারম্যান শামিম খান ও হারুন অর রশীদ বরকন্দাজ ওরফে টাইগার হারুনের বন্ধুত্বের কারণে তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম বরকন্দাজ অনিক এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করার জন্যে ইয়াবার ব্যবসা শুরু করে। তাদের গ্রুপের ডিলার ছিলো তানজিল প্রধানিয়া, পিতা হারুন প্রধানিয়া, শাহাদাত বেপারী, পিতা মিজান বেপারী, আশিক বেপারী, পিতা জসু বেপারী, নোমান, পিতা মৃত ইউসুফ আলী বেপারী ও ইদ্রিস খান, পিতা জাফর খান।

১নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সাইফুল প্রধানিয়ার বাহিনী বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর জন্যে চাঁদা আদায় করতো। কেউ বাড়িতে বিল্ডিং করলে চাঁদা আদায় করতো। রাস্তার পাশের বড়ো বড়ো গাছ বিক্রি করে টাকাগুলো চেয়ারম্যানসহ তাদের গ্রুপের সবাই ভাগ- বাঁটোয়ারা করে নিতো, তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতো না।

সাইফুল প্রধানিয়ার দাপটে তার ছেলে দুবার মদ ও গাঁজা নিয়ে চাঁদপুর সদর থানায় আটক হলে হারুন বরকন্দাজ ও চেয়ারম্যান শামিম খান মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন।

ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সাইফুল মদিনা (বউ) বাজার থেকে নদীর পাড়ের দুধু মিজির বাড়ি পর্যন্ত যতো সিএনজি অটোরিকশা আসা যাওয়া করতো, তাদেরকে আটকিয়ে চাঁদা আদায় করতো।

এলাকার মানুষদেরকে সরকারি ঘর দেয়ার নাম করে ১ হাজার টাকা করে ১০০ পরিবার থেকে ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় তার অনুগত বাহিনী।

ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রধানিয়া বাড়িতে একক ব্রিজ করে দেন চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন শামিম খান, অথচ সেখানে ব্রিজ করার মতো উপযুক্ত জমি ছিলো না। তারপরও রুহুল আমিন বেপারীর বাড়ির উপর দিয়ে পথ তৈরি করে শুধু একটা পরিবারের জন্যে ব্রিজ নির্মাণ করে দেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে। অথচ তার পাশে প্রায় ৫০ পরিবারের জন্যে ব্রিজ তো দূরের কথা, কাঁচা রাস্তা করে দেওয়ার নাম করে অনেক টাকা হাতিয়ে নেন। বর্ষাকালে ঐ গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়।

ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রধানিয়া এলাকায় বিচারের নামে ঘুষের বাণিজ্য করতেন। তার অর্ধেক চলে যেতো খামের মাধ্যমে চেয়ারম্যান শামিম খানের কোষাগারে। তাদের এই অপকর্মের কথা সবাই জানলেও এলাকাবাসী কেউ ভয়ে মুখ খুলতো না।

৫ আগস্টের পর অনেকে গা ঢাকা দিলেও পুনরায় এসে ওইসব ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে।

তাই সচেতন এলাকাবাসী উঠতি বয়সী ছেলেদের রক্ষা ও মানুষের নিরাপত্তার জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়