প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
হাজীগঞ্জে কিশোর সাইমুন হত্যা মামলায় সব আসামী অজ্ঞাত
হাজীগঞ্জে টোরাগড় ও মকিমাবাদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কিশোর মো. সাইমুন হোসেন (১৩)-এর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা (নং-১৪) দায়ের করা হয়েছে। এতে সব অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সাইমুন হোসেনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা এবং শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে সে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
নিহত সাইমুন হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন তাহফিজুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার নানার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের দিঘদাইর গ্রামে এবং তার সৎ বাবার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়া চরবাকিলা গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ি। সে তার মায়ের সাথে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন খাটরা-বিলওয়াই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, মামলার তদন্ত করা হচ্ছে এবং তদন্তপূর্বক আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে। সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনীসহ আমাদের যৌথ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজীগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন সন্ধ্যার পর হাজীগঞ্জ বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পৌরসভাধীন টোরাগড় ও মকিমাবাদ গ্রামের দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল ও কাচের বোতল নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হন। এতে দোকানপাট ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হন ব্যবসায়ীরা এবং ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পথচারীসহ আহত হন অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি। এর মধ্যে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত কয়েকজনকে কুমিল্লা ও ঢাকা পাঠানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে শনিবার রাতে সাইমুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। একই ঘটনায় প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে।