রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
  •   এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা
  •   হাজীগঞ্জের সকল মৃত্যুর খবরই গুজব!
  •   দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
  •   অবশেষে চাঁসক সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাছানকে বদলি

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষ

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষ

আঙ্গুর বিদেশি ফল হলেও প্রথমবারের মতো এর বাণিজ্যিক চাষে সফল হয়েছেন চাঁদপুরের যুবক কামরুজ্জামান প্রধানিয়া। এই উদ্যোক্তা ইতোমধ্যে ২০ শতক জমিতে আঙ্গুর চাষাবাদ শুরু করেছেন। চাঁদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর-মতলব সড়কের পাশেই দেখা মিলছে তার চাষ করা ভিনদেশি এই রসালো ফলের ফলন।

বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে আঙ্গুর। বাঁশের মাচায় ঝুলে থাকা সবুজ আঙ্গুর দূর থেকে পথচারীদের নজর কাড়ছে। মাত্র ২০ শতক জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষাবাদ শুরু করেন বলে জানান উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান প্রধানিয়া। তার দাবি, বাংলাদেশে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে আঙ্গুর গাছ ছাঁটাই করলে মার্চ-এপ্রিলে ফল পাওয়া যায়। এরপর আবার শীতের সময় ফলন আসে।

কামরুজ্জামান প্রধানিয়া বলেন, “২০২১ সালে করোনা ভাইরাস যখন কমতে শুরু করে, তখন থেকেই আঙ্গুর চাষ নিয়ে কাজ শুরু করি। তবে এই প্রজেক্টটি মাত্র ৬ মাস ধরে শুরু করেছি। প্রথমে আমার ছাদ বাগান থাকে বেশ কিছু জাত নিয়ে আঙ্গুর চাষ শুরু করি।''

কামরুজ্জামান আরও বলেন, “১২০টি মাতৃগাছে ফুল ফুটতে শুরু করেছে। কিছু কিছু গাছে শোভা পাচ্ছে রসালো ফল আঙ্গুর। এখানে ৬ মাস ধরে পরিচর্যা করা হচ্ছে আঙ্গুর ফল গাছ।” বেকারত্ব দূরীকরণে কামরুজ্জামানের এই ফল চাষাবাদে তরুণদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

জেলায় প্রথমবারের মত বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর ফল চাষের খবর শুনে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।

দর্শনার্থী মোঃ তানভীর হোসেন ও আমির হোসেন সরকার বলেন, চাঁদপুরের মধ্যে আঙ্গুরের বড়ো বাগান আর কোথাও নেই।

তাই তারা এই আঙ্গুর বাগানটি দেখতে এসেছেন। এটি দেখে তারাও বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। উদ্যোক্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ ও আঙ্গুরের চারাও নিচ্ছেন তারা।

কামরুজ্জামান প্রধানীয়ার প্রকল্প পরিদর্শনে আসেন কল্যাণপুর ও আশিকাটি ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম ও সাদিকা বেগম।

তারা বলেন, দোআঁশযুক্ত লালমাটি, জৈবিক সার সমৃদ্ধ কাঁকর জাতীয় মাটি এবং পাহাড়ের পাললিক মাটিতে আঙ্গুর চাষ ভালো হয়। জমি অবশ্যই উঁচু হতে হবে, যেখানে পানি দাঁড়িয়ে থাকবে না এবং প্রচুর সূর্যের আলো পড়বে এমন জায়গা আঙুর চাষের জন্যে নির্বাচন করতে হবে। এলাকায় যেকোনো আঙ্গুর চাষির জন্যে পরামর্শ ও সহযোগিতা থাকবে বলে জানান তারা।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, “চাঁদপুরে আগে কখনো বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুরের চাষ হতো না। যেগুলো হতো, তা পরীক্ষামূলক। এবার জেলায় প্রথমবারের মতো মিষ্টি আঙ্গুর চাষ শুরু করেছেন উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান।

তার এই আঙ্গুর চাষের বিষয়টি আমাদের জানা রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আঙ্গুর চাষে আগ্রহীদের সহযোগিতা করা হবে।” সূত্র : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়