প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, মাসিক চাঁদা আদায়, প্রদত্ত ঋণ সমন্বয় সংক্রান্ত উপজেলা পর্যায়ের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে কচুয়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মিলনায়তনে এ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ইফার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খন্দকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আব্দুল সালাম ও জেলা ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবদুর রহমান গাজী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কচুয়া উপজেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি ও কচুয়া উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহম্মদ মোস্তফা আনোয়ারী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইফার ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন।
কচুয়া উপজেলা মডেল মসজিদের সদস্য সচিব ও ইফার ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ হাসান মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মডেল মসজিদের ইমাম ও কচুয়া উপজেলা ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাওলানা মোঃ গোলাম কিবরিয়া।
ওরিয়েন্টেশনে অংশ নেন কচুয়া উপজেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোফাজ্জল হোসেন, কচুয়া উপজেলা ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আক্কাস, ইফার মাস্টার ট্রেইনার মোঃ সোলায়মান, ফিল্ড সুপারভাইজার মোঃ শরিফুল ইসলাম মুন্সী (সদর চাঁদপুর), মোঃ ইসমাইল হোসেন (হাইমচর), মোঃ মাহমুদুর রহমান (মতলব দক্ষিণ), মোহাম্মদ জাহিদুল হক (হাজীগঞ্জ), মোঃ সালাউদ্দিন (ফরিদগঞ্জ), হাফেজ মাওলানা সাদ্দাম হোসেনসহ ইমাম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ওরিয়েন্টেশনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত মডেল মসজিদ ইসলামের প্রচার প্রসারে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। ইমামগণ নিজ পরিসরে ইসলামের নানা বিষয়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। এদেশে আউলিয়ায়ে কেরাম দ্বীন প্রচারে যে ভূমিকা রেখেছেন, ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মাধ্যমে সেটির পুনর্জাগরণ সৃষ্টি হবে। বক্তারা আরো বলেন, এক সময় ইমামদের সংগঠন ছিল। তবে এরকম ঐক্যবদ্ধ ছিলো না। এখন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে ইমামদের সংগঠন সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছে। এটি একটি মাইলফলক। দেশ ও জাতির কল্যাণে যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাসেজ জাতির উদ্দেশ্যে প্রচার করা প্রয়োজন, ঠিক তখনই ইমামগণ মুহূর্তের মধ্যেই সে ম্যাসেজ জাতির উদ্দেশ্যে প্রচার করে দেন।
সবশেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খন্দকার।