রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
  •   এক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা
  •   হাজীগঞ্জের সকল মৃত্যুর খবরই গুজব!
  •   দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
  •   অবশেষে চাঁসক সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাছানকে বদলি

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বিদ্যালয় মাঠে আমন ধানের বীজতলা

শামীম হাসান ॥
বিদ্যালয় মাঠে আমন ধানের বীজতলা

বানের জল প্রবেশ না করলেও অব্যাহত ভারী বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এখনো পানির নিচে ফরিদগঞ্জের ফসলের মাঠ। চলছে আমনের মৌসুম। ঘরে থাকা বীজ ধান নষ্ট হয়ে গেলেও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বীজ উপহার দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে কৃষকদের । কিন্তু বীজতলা তৈরির মতো এক টুকরো মাঠের সন্ধানে কৃষকের কপালে পড়া দুশ্চিন্তার ভাঁজ দূর করার উপায় ছিলো না কারো কাছে। কৃষকের সে দুশ্চিন্তা দূর করতে এগিয়ে এলেন এক ঝাঁক শিক্ষক-শিক্ষার্থী। নিজেদের খেলার মাঠকে দিয়ে দিলেন কৃষকের আমনের বীজতলা তৈরিতে। চিত্রটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনের এ উদ্যোগকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন উপজেলাবাসী।

স্কুল মাঠে বীজতলা প্রস্তুতকারী কৃষকদের একজন মোবারক হোসেন জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে দুবার আমাদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মাঠে আমরা বীজতলা তৈরি করেছি। বীজতলা তৈরি না করা গেলে একদিকে আমন উৎপাদন ব্যাহত হতো, অন্যদিকে আমদের না খেয়ে থাকতে হতো।

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক একেএম সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জলাবদ্ধতায় কৃষকদের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মাঠে বীজতলা তৈরির সুযোগ দিয়েছি। আশা করি এতে কৃষকরা এবং এলাকাবাসী উপকৃত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, এ বছর আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৩৭৩ হেক্টর। জলাবদ্ধতায় লক্ষমাত্রা অর্জনের বিষয়ে আমরা শঙ্কিত। চেষ্টা করছি লক্ষমাত্রার কাছিকাছি পৌঁছতে। বীজতলা প্রস্তুত করার উপযোগী মাঠ না থাকায় স্কুল মাঠে বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি বলেন, আমরা কি এ ধরনের কাজের অনুমতি দিতে পারি ?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল বলেন, সিজন চলে যাচ্ছে। যেহেতু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষক যাবে কোথায়? তাদেরকেতো আমাদের হেল্প করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়