প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকায় 'মুক্তিযোদ্ধা বাদশা পাঠান পরিবারের অত্যাচারে বাড়ি ছাড়া ইউপি সদস্য' শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য সেলিনা বেগম উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যে সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়েছে, আবেগী কথাবার্তা বলে এবং কান্নাকাটি করে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করেছে। তাই আমি প্রকাশিত সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ করছি।
প্রকাশিত সংবাদে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার বাবাকে ভুয়া প্রমাণের হীন চেষ্টা করা হয়েছে। কেননা আমার বাবা সেনাবাহিনীর অধীনে ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন। তিনি সেনাবাহিনীর জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার ছিলেন। আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে ৯ জন চাকুরি পায়নি। চাকরি পেয়েছে ৪ জন। আমাদেরকে বলা হয়েছে, আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং মন্ত্রণালয়ের প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতা দেখিয়েছি। এটাতো মিথ্যা, কারণ আমাদের পরিবারের কারো আওয়ামী লীগের সাথে ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। বরং সেলিনা এবং তার ছেলেরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পদধারী কর্মী। সেই সাথে তার ছেলেরা মাদকের সাথেও জড়িত। আমি ২০১৮ সালে চাকরি থেকে অবসর নেই। আমাদের কেউ মন্ত্রণালয়ে চাকরি করে না, তাহলে কীভাবে মন্ত্রণালয়ে প্রভাব খাটাবো? জমির বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যে জমির রেজিস্ট্রিই হয়নি, সেটা সেলিনা কীভাবে দাবি করতে পারে? আদালতের মামলার নিষ্পত্তি পরবর্তী এ বিষয়ে তার মুচলেকাও রয়েছে। সেলিনা এলাকার মানুষদেরকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, টিসিবির কার্ড, টিউবওয়েল দিবে বলে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, কিন্তু তাদের কার্ডও দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। এসব কারণে লোকজনের ভয়ে সে এলাকাতে যায় না। বাড়ির পুকুরের সেলিনা এক অংশের মালিক। এখন সেটা নিয়ে মিথ্যাচার করছে। বাদশা মিয়ার ছেলেদের মধ্যে শুধু আমি (জাহাঙ্গীর) বাড়িতে থাকি, বাকি সবাই ঢাকাতে থাকে। তাহলে তাকে এই অত্যাচারটা কে করলো? সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ১৪টি মামলা করেছি। অথচ সত্য হলো, সে আমাদের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা করে, যা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আর আমরা তার বিরুদ্ধে ১টি মামলা এবং ৩টি অভিযোগ করেছি।
সেলিনা মেম্বারের ছেলে ওমরের সাথে সেলিনার ভাসুরের মেয়ের সাথে অবৈধ মেলামেশার কারণে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরে মেয়েটিকে গর্ভপাত করানো হয়। এটা নিয়ে সালিস হয়। সালিসে আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান সেলিনার ছেলের ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। সেই থেকে সেলিনা হোসেন আমাদের পেছনে লেগেছে। তারই জের ধরে ২০২৩ সালের ১১ রমজান রাতে সেলিনার ছেলে ওমর আমাকে পিছন থেকে অতর্কিত হামলা করে আমার মাথায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। তারই প্রেক্ষিতে আমি মামলা দায়ের করি।
--মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, বাদশা মিয়ার ২য় সন্তান।
জিডি-১১৫৬৯/২৪
সেলিম জানে কোথায় বসবে।