শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

মেঘনার ডুবোচরে আটকে পড়ছে নৌযান ॥ বয়া স্থাপন জরুরি
বিমল চৌধুরী ॥

উত্তাল মেঘনার ডুবোচরে প্রতিনিয়ত আটকে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের নৌযান। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌ চলাচল। চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন মেঘনার বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে ডুবোচর। এই ডুবোচরকে পাশ কাটিয়ে চলাচল করতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নৌ-চলাচল।

মালামাল পরিবহনসহ যাতায়াত সাশ্রয়ী ও নিরাপদ হওয়ায় বহুকাল থেকে জনপ্রিয় থেকে হয়ে উঠেছে নৌপথ। প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ঢাকাগামী জাহাজ, কার্গো, লঞ্চ, স্টিমারসহ বিভিন্ন নৌযান চাঁদপুরের মেঘনার বুক পাড়ি দেয়। এ পাড়ি দিতে গিয়ে গত ক’দিন যাবৎ পুরাণবাজার শহর রক্ষাবাঁধ সংলগ্ন হরিসভা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নূর বকাউল বাড়ি সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা ডুবেচরে আটকে যাচ্ছে বড় বড় মালবাহী জাহাজ।

স্থানীয় আবুল খায়ের মিজি জানান, চালকদের অনেকেই হয়তো এই রূটে চলাচলের অভিজ্ঞতা না থাকায় নদীতে পানির স্তর কখন কোন্ স্থানে কতটুকু রয়েছে তা বুঝতে পারেন না। আর তা বুঝতে না পারায় তাদের মালবাহী নৌযান আটকে পড়ছে ডুবোচরে। বহু চেষ্টা করেও আর সামনের দিকে এগুতে না পারায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় আটকে যাওয়া স্থানে। পরে যখনই জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায় তখনই তাদের মুক্তি হয়। তারা আটকে যাওয়া জাহাজ নিয়ে ফের চলতে শুরু করে গন্তব্যের দিকে।

এমন ঘটনা কয়েকদিন ধরে ঘটলেও বিআইডব্লিউটিএর কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। তারা যদি ডুবোচরের স্থানসমূহ নির্ণয় করে, বয়া বা সতর্কতামূলক নিয়নবাতি স্থাপন করে তাহলে এ স্থান দিয়ে চলাচলরত নৌযানগুলো ডুবেচরে আটকে গিয়ে ক্ষতির শিকার হতো না। এখনই যদি এ সকল ডুবোচর চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগ্রহণ না করা হয়, তাহলে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

মেঘনার বুকে জেগে উঠা ডুবোচরের কারণে যেমনিভাবে নদীর গতিপথ ব্যাহত হচ্ছে, তেমনিভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে নদীর পাড় এলাকা। নদীর স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হলে পুনরায় ভাঙন দেখা দিতে পারে পুরাণবাজার শহর রক্ষাবাঁধে। এমনটাই মনে করছেন এ স্থানে বসবাসরত মানুষজন। তাই ভাঙন প্রতিরোধে মেঘনায় জেগে ওঠা ডুবোচর কেটে নদীর স্বাভাবিক চলাচল অব্যাহত রাখার জোর দাবি করে আসছেন দক্ষিণাঞ্চল নদীভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়