প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ঘাসিপুর ঝিলসহ ১২টি ঝিলের মাছ ভেসে গেছে
মাছচাষীদের ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ঘাসিপুর চরের ঝিলসহ ১২টি ঝিলের মাছ ভেসে গেছে। এতে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। জানা যায়, ঘাসিপুরের মাছের ঝিলসহ ১২টি মাছের ঝিল ২শ’ সদস্য ইজারা নিয়ে প্রতি বছর মাছ চাষাবাদ করে আসছে । সাম্প্রতিক বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে ঝিলগুলোর পাড় ডুবে যায়। এতে ঝিলে থাকা মাছগুলো পানির সাথে ভেসে যায়। এভাবে তাদের ৩০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। এ ১২ টি ঝিল ২ শ' জন লোক ইজারা নিয়েছে। এটার ওপরে অনেকের সংসার চলে। এতো বড়ো ক্ষতি হওয়ায় তাদের খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে অসহায় হয়ে পড়েছে। এসব ঝিল হলো : ঘাসিপুর, ফরিদগঞ্জের চরমুটকী, বেহারীপুর ও হুলি মার্কেট।
গতকাল সোমবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝিলগুলো পানিতে ডুবে রয়েছে। চার পাশ দিয়ে জাল দিয়ে বেড়া দেওয়ার পরও মাছ ভেসে গেছে। তারপরও ঝিল মালিকেরা শ্রমিক সহকারে মাছ রক্ষার জন্যে বালির বস্তা ও জাল নিয়ে চার পাশে ঘুরে ঘুরে বস্তা ও জাল দিয়ে বেড়া দিচ্ছে। তাদের চোখেমুখে হতাশা বিরাজ করছে। ঝিল মালিকরা অনেকে ঝিলের নিকট এসে কান্নাকাটি করতে দেখা যায়। তাদের কষ্টের মাছ নদীতে ভেসে যাওয়ায় অনেকে ভেঙ্গে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে ঝিল মালিক কামাল তালুকদার, হানিফ ভুইয়া, মোঃ আলমগীর খান, মিজান খান, গফুর মিজি, মাসুম পাটোয়ারী, আর্শাদ খান ও মাহাবুব খান বলেন, বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা হলে আমাদের ১২টা ঝিলের ৩০ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। জাল ও বালির বস্তা দিয়েও মাছ রক্ষা করতে পারিনি। আমরা ২শ’ সদস্য রয়েছি। আমাদের কষ্টের টাকার মাছ ভেসে গেছে। আমরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এতো বড়ো ক্ষতির হাত থেকে কীভাবে আমরা উঠে আসবো। আল্লাহ যদি আমাদের দিকে চান।না হলে পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের ঝিল গুলো হচ্ছে : ঘাসিপুর, ফরিদগঞ্জের চরমটকী, হুলি মার্কেট এ বেহারীপুর। এসব ঝিল প্রতি বছর আমরা ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করি।