রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

জলাবদ্ধতার শিকার

কৃষক ও মৎস্যচাষীদের রক্ষায় ফরিদগঞ্জে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

প্রবীর চক্রবর্তী ॥
কৃষক ও মৎস্যচাষীদের রক্ষায় ফরিদগঞ্জে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

সিআইপি বাঁধের অভ্যন্তরে স্মরণাতীতকালের ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, মৎস্যচাষী ও দিনমজুরদের রক্ষা এবং ক্ষতিপূরণ দাবিতে ২৫ আগস্ট রোববার ফরিদগঞ্জে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠন ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষি ও মৎস্যসম্পদ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।

উপজেলা সদরস্থ শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা আলমগীর হোসেন দুলাল। এ সময় তিনি বলেন, গত দেড় যুগে এদেশে কৃষকদের উন্নয়নে কোনো কাজ হয়নি। হয়েছে শুধু উন্নয়নের নামে লুটপাট, অনিয়ম ও দুর্নীতি। টানা বর্ষণে চাঁদপুর সেচপ্রকল্পভুক্ত ফরিদগঞ্জ উপজেলার অভ্যন্তরে কৃষকরা আজ পথে বসেছে। মৎস্যজীবীরা সর্বস্ব হারিয়েছে। এখন তাদের দ্রুত পুনর্বাসন প্রয়োজন।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষি ও মৎস্যসম্পদ উপদেষ্টার বরাবরে পৃথক দুটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, টানা বর্ষণের কারণে ফরিদগঞ্জে ২২ হাজার হেক্টর আবাদী জমিতে রোপণকৃত জমির কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। অর্ধ-শতাধিক মাছের ঘের ও পুকুর রক্ষায় কোটি কোটি টাকার নেট দ্বারা বেড়া দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। ক্ষেতমজুর, দিনমজুররা প্রায় সম্পূর্ণ বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে হতদরিদ্র এ মানুষগুলো প্রবল খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব দুইটি স্লুইচ গেইট সচল রেখে পানি নিষ্কাশন করে জলাবদ্ধতা দূর করার পদক্ষেপ নিতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক-মৎস্যচাষী (ঘের-পুকুর) দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে খাদ্য, নগদ অর্থ, পর্যাপ্ত চিকিৎসা প্রদান ও ঔষধ সরবরাহ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক-মৎস্য চাষী, কৃষক, ক্ষেত মজুরদের তালিকা প্রস্তুত করে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কৃষি বিভাগকে দিয়ে বীজতলা তৈরী করে বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সার্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা, সকল কৃষি ঋণ মওকুফ করে সুদমুক্ত ঋণ দেয়া এবং এনজিও কিস্তি বন্ধ করার নির্দেশনা দিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগঠনের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াদুদ, সম্পাদক লিটন পাটওয়ারী, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের প্রবল বর্ষণে সিআইপি আওতাধীন ফরিদগঞ্জে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। উপজেলার প্রায় ৯০ ভাগ এলাকার লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়ে। ভেসে যায় কোটি কোটি টাকার মাছ। দিশেহারা হয়ে পড়েছে আমন চাষীরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়