রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ডুবে গেছে কুমিল্লার আরেক উপজেলা, ঘরছাড়া ৪০ হাজার মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
ডুবে গেছে কুমিল্লার আরেক উপজেলা, ঘরছাড়া ৪০ হাজার মানুষ

বন্যার পানিতে ডুবে গেছে কুমিল্লার আরও একটি উপজেলা। গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেশিরভাগ গ্রাম ডুবে যায়। ২৪ আগস্ট বিকেল থেকে পানি আসতে শুরু করলেও সন্ধ্যায় ডুবে হয়ে যায় উপজেলার মানুষের বাড়িঘর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২২ আগস্ট রাতে গোমতীর বুড়িচং উপজেলার বুরবুড়িয়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। রাতেই প্লাবিত হয় বুড়িচং উপজেলা। এতে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয় উপজলাজুড়ে। শনিবার সেই পানি প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়। এ ছাড়া সকালে ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় ঘুংঘুর নদীর বাঁধ ভেঙে উপজেলায় পানি ঢুকতে থাকে। এখন পর্যন্ত ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চার ইউনিয়নের ২৩ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মাঝে মালাপাড়া, সাহেবাবাদ, শশীদল, নাইঘর, নোয়াপাড়া, কল্পবাস, ধান্যদৌল, ডগ্রাপাড়া, ব্রাহ্মণপাড়া সদর, নাগাইশ, বড় দুশিয়া ও চান্দলার গ্রামের বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সাড়ে সাত হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। উপজেলার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার মানুষ সন্ধ্যা থেকে পানিবন্দি ছিলেন। এ অবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু স্থানে অবস্থান নিয়েছেন এসব মানুষ।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম বলেন, সকাল পর্যন্ত ভালোই ছিল। বিকেলে খবর পাই বিভিন্ন এলাকায় পানি আসছে। সন্ধ্যায় প্রবল বেগে পানি ঢুকে ২৩টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমন্বয় করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়া ঢাকা থেকে ড্রাম এনে উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্যে ভেলা তৈরি করেছি। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন, তাদের জন্যে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যারা পানিবন্দি অবস্থায় আছেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়