সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সহায়তায়

একটি সংখ্যালঘু পরিবার ফিরে পেল পৈত্রিক বসতভিটা ও নিরাপত্তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥
একটি সংখ্যালঘু পরিবার ফিরে পেল  পৈত্রিক বসতভিটা ও নিরাপত্তা

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পলায়নের পর পর চাঁদপুরে কতিপয় উশৃঙ্খল দুষ্কৃতিকারী চাঁদপুর শহরের ১৩ নংওয়ার্ডে গ্যাস কোম্পানির সামনে সনাতন ধর্মালম্বী রিপন কুমার চন্দের বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে।

এ সময় ঐ দুস্কৃতিকারীরা রিপন কুমার চন্দের বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ভাংচুর করে ও তার আলমিরা থেকে নগদ অর্থসহ স্বর্নালংকার ও গুরুত্বপুর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। একই সাথে তারা তার ৩ টি দোকানে হামলা চালিয়ে তার ভাড়া দেয়া দোকানের মালামাল লুটপাট করে। শুধু তাই নয়, দুষ্কৃতিকারীরা তাকে নব জাতক শিশুসহ স্ব পরিবারে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

রিপন চন্দকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার পর সে নিরুপায় হয়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্ট দেয়। বিষয়টি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের দৃষ্টিতে পড়লে তিনি বিষয়টি আমলে নেন। পরদিন সকালে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নির্দেশে জেলা যুব দলের সাধারন সম্পাদক নূরুল আমিন খান আকাশসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা অসহায় সংখ্যালঘু পরিবারের পাশে দাঁড়ান। এতে করে অসহায় রিপন চন্দ পরের দিন নিজ বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদে বসবাস শুরু করেন। একই সাথে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ অন্যান্য বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দরা তাকে নিরাপদে বসবাস করার জন্য আস্বস্ত করেন।

এ ব্যাপারে হামলার শিকার রিপন কুমার চন্দ জানান, গত ৫আগস্ট মাগরিবের পর পর কতিপয় উশৃঙ্খল দুষ্কৃতিকারী আচমকা আমার বসবাসরত পৈত্রিক ভিটা বাড়িতে হামলা শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের ঘরে ঢুকে ভাংচুরের তান্ডব চালায়। তারা আমাদের ঘরের আলমিরা ভেঙ্গে নগদ অর্থসহ আমার স্ত্রী ও মায়ের সকল স্বর্ণালংকারসহ ঘরের গুরুত্বপূর্ন মালামাল ও ভুমি সংক্রান্ত দলিল দস্তাবেজ লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় তারা আমাদেরকে স্ব পরিবারে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দেয়। আমি ফেজবুকে স্টাটাজ দিলে বিষয়টি চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাইয়ের দৃষ্টিতে আসে। তিনি বিষয়টি তখনই ব্যবস্থা নিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে রক্ষা করেন। এ জন্য আমি ও আমার পরিবার চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ বিএনপি ও যুবদলের সকল নেতৃবৃন্দের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সাথে তিনি আমার মতো চাঁদপুরের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বী ও হিন্দু পরিবারের সকল মন্দির রক্ষায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বী ও হিন্দু পরিবার পরিবার চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ বিএনপি ও যুবদলের সকল নেতৃবৃন্দের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।

এদিকে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, চাঁদপুরের কোন সনাতন ধর্মালম্বীদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে কেউ হামলা ও ভাংচুর করলে সে যেই হোক তাকে কোন ছাড় দেয়া হবেনা।

উল্লেখ্য, রিপন কুমার চন্দ চাঁদপুরের একজন সাংস্কৃতিক কর্মী। সে ঐতিহ্যবাহী বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠীর কার্য নির্বাহী সদস্য। মঞ্চে একজন নিয়মিত দক্ষ নাট্য শিল্পী। এছাড়া সে বাংলাদেশ ফিল্মক্লাবের আজীবন সদস্য।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়