প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
পুড়ে যাওয়া হাজীগঞ্জ পৌর ভবন ও থানা পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হাজীগঞ্জ পৌর ভবন ও হাজীগঞ্জ থানা কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। গত শুক্রবার পরিদর্শন শেষে টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) সহ পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সেবা চালু এবং সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভাগ পুনঃসংস্কার না হওয়া পর্যন্ত পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অস্থায়ীভাবে তাদের কার্যক্রম চালাতে নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতির ছবি ও ভিডিও ধারণসহ তালিকা নিরূপণের কথাও উল্লেখ করেন। তাঁর সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, সেনা কর্মকর্তা মেজর মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে হাজীগঞ্জ থানা কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এ সময় হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু কুমার দত্ত মিঠু, হাজীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নূর আজম শরীফ, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ও পয়ঃনিষ্কাশন) মো. মাহবুবর রশিদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট (রোববার) বিকেলে পৌরসভা কার্যালয় ভাংচুর, তিনটি গাড়ি ও চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরের দিন ৫ আগস্ট (সোমবার) সকালে ফের পৌরসভা কার্যালয়ের একাধিক কক্ষসহ দুটি গাড়িতে আগুন এবং বেশ ক'টি গাড়িসহ অন্যান্য মালামাল, জিনিসপত্র ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। তারা পৌরসভার একাধিক কম্পিউটার ও ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে যায়। এতে পৌরসভার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্তসহ পৌরসভার নাগরিক সেবার অন্যতম বিভাগ পৌর ডিজিটাল সেন্টার, বিদ্যুৎ, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন এবং প্রকৌশলীসহ অন্যান্য বিভাগের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, জেনারেটর ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পৌরসভার সেবা কার্যক্রম।