প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
শতায়ু সেকান্দর আলী মিয়াজীকে ঘিরে যতো আয়োজন
চাঁদপুর সদরের নানুপুর গ্রামের বাসিন্দা শতায়ু সেকান্দর আলী মিয়াজী। একসময় পুলিশের দারোগা ছিলেন। সততা আর কর্তব্যনিষ্ঠার জন্যে তাঁর অন্যরকমের পরিচিত ছিল পুলিশ বাহিনীতে। তা চার দশক আগের কথা। তবে এখানে গল্পটা ভিন্ন। অবসরপ্রাপ্ত এই পুলিশ কর্মকর্তার গ্রামের বাড়িতে একই গোত্রের প্রায় ৬শ’ সদস্য। যাদের নিয়ে তিনি নিজেই আয়োজন করলেন পুনর্মিলনী। একসঙ্গে এই ৬শ’ জনের দুই দিনের খাওয়া। বাদ পড়েনি কয়েকটি ইভেন্টের খেলাধুলা। এসব কেবলমাত্র শতায়ু সেকান্দর আলী মিয়াজীর ইচ্ছা পূরণের জন্যে। তা জানালেন মেয়ে রাফেজা আক্তার রেখা। জার্মানে বসবাসকারী রেখা আরো জানান, তিনিসহ আরো ৫০ জন বিশ্বের কয়েকটি দেশ থেকে এখন মাতৃভূমিতে। যারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। তার বাবা মৃত্যুর আগে এভাবে একসঙ্গে দেখতে চান এবং বাবার ইচ্ছা পূরণে মূলত এমন আয়োজন। জানালেন তিনি।
চাঁদপুর সদরের নানুপুর এলাকায় এমন ব্যতিক্রম আয়োজনের সমাপ্তি ঘটে গত ৩ ফেব্রুয়ারিতে, শনিবার রাত ১২টায়। বাড়ির উঠানে নানা বয়সী ৬শ’ মানুষ। যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। দুদিনের টানা আয়োজন শেষে খেলাধুলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার পর তাদের অপেক্ষা ছিল পুরস্কার নেয়ার। আর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। চাঁদপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত। এমন অতিথি নির্বাচনেও পছন্দ ছিলো শতায়ু সেকান্দর আলী মিয়াজীর। কারণ, এক সময় তিনিও এই পুলিশ বাহিনীর সদস্য ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, সেকান্দর আলী মিয়াজী চাকরি জীবন শেষ করেছেন সেই চার দশক আগে। অথচ তাঁর স্মৃতিশক্তি, শরীরের সক্ষমতা সত্যি অবাক করার মতো। তাছাড়া কর্মজীবনে এই মানুষটির সততা এবং কর্তব্য নিষ্ঠা এই সময় আমাদের অনুপ্রেরণা এবং সাহস যোগায়। শুধু তাই নয়, আজকাল বৃহৎ পরিসরে পারিবারিক এমন বন্ধন খুব একটা চোখে পড়ে না। যেমনটি মিয়াজী পরিবারের বটবৃক্ষ শতায়ু সেকান্দর আলী মিয়াজী তৈরি করেছেন।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুয়েল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জার্মান প্রবাসী রাফেজা আক্তার রেখা, বিশিষ্ট আইনজীবী জেসমিন খানম, যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মমিনুল হক, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক, সাংবাদিক ফারুক আহম্মদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান, তারেক আলম হিটলার প্রমুখ। নানুপুর এলাকায় মিয়াজী পরিবারের পূর্ব পুরুষ ‘পানাউল্লাহ মিয়াজী যুব সমাজ’ নামে একটি সংগঠন ব্যতিক্রমধর্মী এমন আয়োজন করে। যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শতায়ু সেকান্দর আলী মিয়াজী।