প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর সড়ক বিভাগের আওতাধীন ৯৪.৪২ কিলোমিটার সড়ক ১২ ফুট থেকে প্রশস্ত করে ১৮ ফুটে উন্নীতকরণে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আজ ৫ নভেম্বর বিদ্যমান সড়ক অংশে মজবুতিকরণ ও ওভারলে কাজ এবং অবশিষ্ট সড়কের ১২ ফুট থেকে ১৮ ফুট প্রশস্ততায় উন্নীত করার বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রকল্প সমূহের মধ্যে রয়েছে : (১) চাঁদপুর-নানুপুর-চান্দ্রা-কামতাবাজার-রামগঞ্জ সড়ক (জেড-১৪১২) দৈর্ঘ্য ২৪.১৬৪ কি. মি., (২) নানুপুর-দোকানঘর-হরিণা সড়ক (জেড-১৪১২) দৈর্ঘ্য ১০.৩০০ কি. মি., (৩) কচুয়া-গুলবাহার-কাশিমপুর সড়ক (জেড-১৪৪৫) দৈর্ঘ্য ২৫.৭০০ কি. মি., (৪) বাকিলা-টেকেরহাট-জনতাবাজার-নারায়ণপুর (মতলব) সড়ক (জেড-১৪৮২) দৈর্ঘ্য ২২.৮৮০ কি. মি., (৫) মুদাফ্ফরগঞ্জ-চিতোষী-রামগঞ্জ সড়ক (জেড-১৪০৭), দৈর্ঘ্য ১২.৯৭০ কি. মি.।
পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ার সভাপ্রধানে উক্ত সভায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর পাওয়ার প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হবে। সভায় এটি সঠিকভাবে উপস্থাপনের পর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি যদি সুপারিশ করে তাহলে পরবর্তী স্টেজ হবে একনেক।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, বিদমান সড়কাংশে মজবুতিকরণ ও ওভারলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ কাজ হলে এটি হবে চাঁদপুরের জন্যে মাইল ফলক। কারণ রাস্তার পাশে বাজার প্রশস্তকরণ করা হলে দীর্ঘ যানজটসহ অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে চাঁদপুরবাসী যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি চাঁদপুর হবে একটি ট্রানজিট পয়েন্ট।
এ বিষয়ে কথা হলে চাঁদপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত আহম্মদ মজুমদার বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ সড়ক রয়েছে ১২ ফুটের। সড়কের স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে ১৮ ফুট। মতলব-গজারিয়া ঝুলন্ত সেতু হয়ে গেলে এবং ঐ সেতু স্থল দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলে চাঁদপুরে ট্রাফিক চাপ বাড়বে। তাই যথাযথ প্রশস্ততায় যদি সড়ক না হয় তাহলে সরু রাস্তায় যানবাহন চলাচলে অব্যাহতভাবে চাপ বাড়বে।