বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে ঘুষের টাকা না দেয়ায় ভাতার বই বাতিলের অভিযোগ
শামীম হাসান ॥

ফরিদগঞ্জে ঘুষের টাকা না দিতে পারায় ভাতার কার্ড বাতিলের অভিযোগ উঠেছে এক সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

অর্চনা রাণী সরকার জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী, নিজস্ব সম্পত্তি না থাকায় সরকারি সম্পত্তির উপর অস্থায়ী ঘর তুলে বসবাস করেন। পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে মন্দিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় দীর্ঘ ৭ বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে আসছেন। এমন অসহায়য়ের ভাতা বাতিল করেছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার পান্না রহমান। হঠাৎ নিজের বইতে টাকা জমা না হওয়ায়, সমাজসেবা অফিসে ছুটে যান অর্চনা রাণী সরকার। জানতে পারেন অর্চনা রাণী সরকার প্রতিবন্ধী নয়। এ কথা শুনেই যেনো মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থা।

কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন অর্চনা রাণী সরকার। অর্চনা রাণী সরকারের অসহায়ত্বে এক পর্যায়ে মন নরম হলে ফিল্ড সুপারভাইজার পান্না রহমান জানান, ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। ১০ হাজার টাকা দিলেই ভাতার বই ঠিক করে দেয়া হবে।

অর্চনা রাণী বলেন, তারা আমার ভাতার বই রেখে দিয়ে বলে আপনি প্রতিবন্ধী না, এরপর তারা আমার সারা শরীর দেখাতে বলে, আমি দেখাই। পরের দিন যাওয়ার পর বলে আপনার বই ক্যান্সেল (বাতিল); তারপর পান্না রহমান বলেন, আপনার ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। তাহলে বই ঠিক করে দিবো।

১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিল্ড সুপারভাইজার পান্না রহমান জানান, ওনার (অর্চনা রাণীর) সুবর্ণ নাগরিক কার্ডটি নেই। প্রতিবন্ধী ভাতার জন্যে উনি যখন আসছে তখন তাকে শুধু এ কথা বলা হয়েছে- একজন অর্থোপেডিক ডাক্তার দেখিয়ে একটা প্রত্যায়ন আনতে। এরপর এই কার্ডটা (সুবর্ণ নাগরিক) হলে একদম অ্যাকুরেট হয়ে যাবে। আর কিছু না।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিবন্ধী শনাক্ত করা ডাক্তারি বিষয়। আমরা যদি হওয়ার মতো দেখি তখনই ডাক্তারের কাছে পাঠাই, প্রয়োজনীয় উপদেশ দিই। যদি কেউ এ ধরনের বিষয়ের (ঘুষ লেনদেনে) জড়িত থাকে এবং প্রতীয়মান হয় অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনই নয়, পরিচয় গোপন রাখার শর্তে অফিসের অন্য কর্মচারীরা জানান, অফিসের উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারীসহ কোনো কারণ ব্যতীত অফিসের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন সুপারভাইজার ফারজানা ও ফিল্ড সুপারভাইজার পান্না রহমানের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে, নিজেও সুবিধা নিয়ে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এদিকে ইউনিয়ন সমাজকর্মীরা ইউনিয়নে না যাওয়ায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।

ভাতার বই বাতিলের বিষয়ে পরিত্রাণ পেতে অর্চনা রাণী সরকার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় লিখিত আবেদন করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়