প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৩৭
কচুয়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি
কচুয়ায় গভীর রাতে জানালার গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে হাত, পা ও চোখ বেঁধে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিয়েছে ডাকাত দল। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি ২০২৫) দিবাগত রাতে গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোহট মজুমদার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
|আরো খবর
সরেজমিনে গেলে বাড়ির মালিক মো. আবু তাহের জানান, আমার তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে ওমান প্রবাসী। বাড়িতে আমার এক প্রতিবন্ধী ছেলে, স্ত্রী ও পুত্রবধূসহ বসবাস করি। প্রতিদিনের ন্যায় রাতে দরজা জানালা বন্ধ করে উপরের তলায় ঘুমাতে যাই। রাত ৩টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে উঠে দেখি ১০-১২ জনের ডাকাত দল। তাদের মধ্যে ক'জন আমার পুত্রবধূ ও নাতির গলায় ছুরি ধরে রেখেছে। ২জন আমার প্রতিবন্ধী ছেলের হাত, পা ও মুখ বেঁধে রেখেছে। এমন সময় আমার উপস্থিতি টের পেয়ে ৫-৬ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দৌড়ে এসে গলায় ছুরি ধরে। আমি ডাক-চিৎকার দিতে চাইলে তারা সবাইকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আমার হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। এ সময় তারা আমার ঘরে থাকা ৫টি আলমারি থেকে ৫১ ভরি স্বর্ণ, নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা , প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি রোলেক্স ঘড়ি, প্রায় ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ২টি মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মূল্যবান দেশী বিদেশী শোপিস নিয়ে যায়। ডাকাত দল চলে গেলে আমার পুত্রবধূ আমাদের হাত-পা ও মুখের বাঁধন খুলে দেয়। পরে রাতেই আশপাশের লোকজন ও কচুয়া থানা পুলিশকে ডাকাতির বিষয়টি অবগত করি। ঘরের বাইরে এসে দেখি, ডাকাত দল রান্না ঘরের জানালার গ্রীল কেটে ওই জানালা দিয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেছে। আমার ঘরের চারপাশে ও ভেতরে সিসি ক্যামেরা ছিলো। ডাকাত দল ডাকাতি করে যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরার ডিভিয়ার মেশিন (মেমরি) নিয়ে যায়।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এটি পরিকল্পিত চুরি না ডাকাতি তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।