বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

অন্য জেলার ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে এনে চাঁদপুরের বলে বিক্রি করায় ভোক্তারা প্রতারিত  হচ্ছে
গোলাম মোস্তফা ॥

‘জাটকা এবং মা ইলিশের পাশে, আমরা আছি প্রতিটি নিঃশ্বাসে’ এ প্রতিপাদ্যে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর ছিলো ৫ম দিন। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় গোল টেবিল বৈঠক। উক্ত বৈঠকে মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটোয়ারী। তিনি বলেন, শত শত বছর ধরে দেখা যায় জাটকা ও ইলিশের বিচরণ ভূমি হলো চাঁদপুর। আগে অভয়াশ্রম ছিলো না। কোনো পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা ছিলো না। তারপরও মাছের অভাব ছিলো না। কিন্তু বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং নদী দূষণের কারণে নদীতে এখন শুধু ইলিশ নয়, বিভিন্ন ধরনের মাছ যা আগে ছিলো, এখন আর নেই।

তিনি আরো বলেন, ইলিশ স্বয়ং আল্লাহ প্রদত্ত একটি বিশেষ মাছ। বর্তমানে দেখা যায় যেখানে বহু প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে সেখানে ইলিশ আজো আছে। অসাধু জেলেরা সেই অভয়াশ্রমের সময় ইলিশ ধরে দেশের সম্পদ ধ্বংস করে ফেলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও কিছু জেলে প্রতিনিধির বিবেকের প্রতি প্রশ্ন রেখে নিজেদের দায়িত্ব পালন করলে আমাদের এই সম্পদ রক্ষা করার আন্দোলন সফল হবে।

তিনি পদ্মা-মেঘনা নদীতে বুড়িগঙ্গা নদীর পানির প্রভাবের বিষয়ে ত্বরিৎ ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্যে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় চাঁদপুরের নদীর ইলিশ ধ্বংস হয়ে যাবে। হাজার হাজার জেলে বেকার হয়ে যাবে। আপনারা চাঁদপুরের জাতীয় সম্পদ নিয়ে যে উৎসব করছেন তার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম, আছি এবং থাকবো। তিনি জেলে তালিকা প্রস্তুতকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সঠিক এবং প্রকৃত জেলেদের তালিকা করুন। কারণ জেলেদের সঠিক তালিকা করা প্রয়োজন। আমাদের অনেক আইন আছে, কিন্তু সেই আইন আমরা সঠিকভাবে প্রয়োগ করছি না। অন্য জেলার ইলিশ চাঁদপুর মাছঘাটে এনে চাঁদপুরের মাছ বলে বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে। তিনি বলেন, চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আনিস সাহেব ছিলেন। তাঁর মতো ব্যক্তির ভাবনা চিন্তায় বৈজ্ঞানিক প্রদ্ধতি ব্যবহার করে ইলিশ সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হবে। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় সচেতনতার মাধ্যমে ও আইনের কঠোর প্রয়োগ করলে ইলিশ সম্পদ রক্ষা পাবে। গ্যাস, তেল যেমনি সরকারি সম্পদ তেমনি জাতীয় সম্পদ ইলিশ এটিও সরকারি সম্পদ। এটি রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

গোল টেবিল বৈঠকে আলোচক ছিলেন সংস্কৃতিসেবী পরেশ মালাকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার ও সিডিএম সভাপতি প্রভাষক ভিভিয়ান ঘোষ। ইলিশ উৎসবের রূপকার ও চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশীদের সঞ্চালনায় সভাপ্রধান ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা অজিত সাহা।

বিকেলে সংসদীয় বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অংশগ্রহণ করে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ও চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের বিতার্কিকরা। রাতে শ্রীমঙ্গল নৃত্যালয়ের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। সবশেষে কলকাতার প্রদীপ্তা ভট্টাচার্য, বিট্টু মণ্ডল, মৌ দত্ত বসু ও অরিত্রিকা মুখার্জীর নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পঞ্চম দিনের ইলিশ উৎসবের সমাপ্তি হয়। তাছাড়া সংগীত পরিবেশন করেন শুভ্র রক্ষিত, রাজিব চৌধুরী ও এমএইচ বাতেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়