বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ভাইস চেয়ারম্যানের ছোড়া কেটলিতে ঝলসে গেলো দোকানদারের শরীর
পাপ্পু মাহমুদ ॥

সিগারেটের দাম বেশি রাখায় দোকানদারের শরীরে চায়ের গরম কেটলি ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে।

জানা যায়, কচুয়া বাজারের বিশ্বরোডের চায়ের দোকানদার মুকবুল খানের (৬০) সাথে সিগারেটের দাম নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চায়ের গরম কেটলি ছুড়ে মারেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম। ঝলসানো শরীর নিয়ে নিজ উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হতেও বাধা দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। পরে পাশর্^বর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তিনি।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার দিবাগত রাতে। ভুক্তভোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে শনিবার হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় স্বজনরা। মুকবুল খান কচুয়া পৌর এলাকার কোয়া গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে।

শনিবার দুপুরে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মুকবুল খানের পিঠ, হাত ও পা ঝলসে আছে। কর্মরত চিকিৎসক জানান, সুস্থ হতে সময় লাগবে।

দোকানদার মুকবুল বলেন, শুক্রবার রাতে ভাইস চেয়ারম্যান আমার দোকান থেকে অন্য লোক দিয়ে বেনসন সিগারেট নেন। কিছুক্ষণ পর সিগারেটের দাম বেশি নিয়েছি বলে ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ৮-১০ জন লোক নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা করেন। এক পর্যায়ে গরম চায়ের কেটলির পানি আমার শরীরে ছুড়ে মারেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করেন। পোড়া শরীর নিয়ে আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। আমাকে এবং আমার পরিবারকে হুমকি দেন, আমি যেনো হাসপাতালে ভর্তি না হই। যন্ত্রণায় আর টিকতে না পারলে আমাকে হাজীগঞ্জ নিয়ে আসে আমার পরিবার।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম জানান, মুকবুল রাজনৈতিক উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন। এক পর্যায়ে কিছু লোকের সাথে তার হাতাহাতি হয়। হাতিহাতির সময় তার শরীরে গরম পানি পড়ে। আমি সে সময় সেখানে উপস্থিত থাকলেও এ ঘটনার সাথে জড়িত নই।

কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির জানান, ঘটনাটি জেনেছি, দোকানদারকে চিকিৎসা নিতে বলেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়