প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে চাঁদপুরে শুরু হয়েছে ১৫তম তাজীয় ইলিশ উৎসব। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।
উদ্বোধন পূর্বে বিকেলে উৎসবের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘ইলিশ নিয়ে ভাবনা’ বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখা।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সদস্য ও বাংলানিউজ২৪.কম চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ মাসুদ আলম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাওন পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক চাঁদপুর বার্তার চীফ রিপোর্টার শাহরিয়া বিন ইয়াহিয়া, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও এনটিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম ও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মো. ইব্রাহীম খান।
জাতীয় সম্পদ ইলিশ নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা পেশাগত অভিজ্ঞতা থেকে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারা বলেন, ইলিশের কারণে চাঁদপুর জেলা দেশ-বিদেশে পরিচিতি এবং ইলিশ নিয়ে চাঁদপুর জেলা ব্র্যান্ডিং হয়েছে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আঃ সবুর মন্ডল কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় একটা সময় ইলিশের উৎপাদন বাড়ে এবং জেলেরা মৌসুমে ইলিশ পায়। কিন্তু পরবর্তীতে কয়েক বছর এবং করোনাকালীন সময়ে মার্চ-এপ্রিল দুই মাসে জাটকা রক্ষা ও মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় অক্টোবর মাসের অভিযান কিছুটা শিথিলতা দেখা দেয়। যার কারণে এক ধরনের অসাধু জেলে জাটকা ও মা ইলিশ নিধন করে। প্রশাসনের বিভিন্ন অভিযানে নদী উপকূলীয় এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ইলিশ আহরণ অবস্থায় হাতেনাতে ধরেন। যারা ইলিশ আহরণে জড়িত তাদের মধ্যে জেলে, জেলে নেতা, মৎস্য ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব পালন সঠিকভাবে করা হচ্ছে না এমন অভিযোগ তুলে ধরেন বক্তারা।
সর্বোপরি ইলিশ আহরণে জড়িতদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন এবং জেলা টাস্কফোর্সের তদারকি বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। কারণ গণমাধ্যমে লিখে সচেতনতা বৃদ্ধি করলেও আইন প্রয়োগের বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে প্রশাসন।
আলোচনা শেষে উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাড. বিণয় ভূষণ মজুমদার ও ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশীদ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের হাতে উৎসবের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।