প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
জাতীয় শিক্ষা পদক-২০২৩ উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন হাজীগঞ্জের ইউএনও মোঃ রাশেদুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপ্রধানে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলাকে নির্বাচত করেছে জেলা যাচাই-বাছাই কমিটি।
হাজীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষার মানোন্নয়ন, বিদ্যালয়ের খোলামেলা পরিবেশ, বৃক্ষরোপণ, শিশুদের খেলার উপকরণ প্রদান, আইসিটি সম্পর্কে ধারণা দেয়া, ঝরেপড়া রোধে মনিটরিং (তদারকি), শিশু শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টসহ নিয়মিত খেলাধুলার ব্যবস্থা ও স্কাউটিংসহ শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্যে তাঁকে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ইউএনও মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের জন্যে কিছু করতে পেরে পুরস্কৃত হয়েছি, এটা সত্যিই আনন্দের। তবে এ পুরস্কার আমার নয়, হাজীগঞ্জবাসীর। আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে ও থাকবে। কারণ, পুরস্কৃত হওয়ার পর এখন আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলো।
এছাড়াও জাতীয় শিক্ষা পদক-২০২৩ উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় চাঁদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন হাজীগঞ্জের মোঃ আবু সাঈদ চৌধুরী, শ্রেষ্ঠ ইন্সট্রাক্টর (ইউআরসি) হয়েছেন রাশেদা আতিক রোজী ও শ্রেষ্ঠ সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হয়েছেন আফতাবুল ইসলাম।
এছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন হাজীগঞ্জের কাপাইকাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তুহিন হায়দার, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা হয়েছেন সেন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আছিয়া খাতুন ও শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষিকা হয়েছেন খাটরা রেফায়ী মেমোরিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জেসমিন আক্তার।
উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষা পদক-২০২৩ উপলক্ষে জেলার ১৮টি পুরস্কারের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের ১২টি পুরস্কার প্রদান করে যাচাই-বাছাই কমিটি। এই ১২টি পুরস্কারের মধ্যে ৭টি পুরস্কার পেলো হাজীগঞ্জ উপজেলা। যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও সদস্য সচিব ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন।