পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা উপলক্ষে আলোর ছোঁয়া সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বাদ আসর থেকে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর ও বিশ্ববরেণ্য আলেম ড. মুহাম্মদ কাফিলুদ্দীন সরকার সালেহী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এ দেশের ৯৮ ভাগ মানুষের মধ্যে রাসূলের মহব্বত আছে। নামের আগে মোহাম্মদ যুক্ত করা--এটা রাসূলের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। মক্কা-মদিনা ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা করে এসে ‘মুহাম্মদ’ নাম লেখা যাবে না, রাখা যাবে না বললেও মানুষ তা মেনে নেবে না। যুদ্ধের ময়দানে রাসূল (সাঃ)-এর হেফাজতের জন্যে তীরের সামনে নিজের জীবনকে বিপন্ন করে দিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লামের প্রতি ভালোবাসা সাহাবায়ে কেরাম দেখিয়েছেন। নিজের জীবনের সবকিছুর চেয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বেদাতের প্রকৃত সংজ্ঞা না জেনে কিছু মানুষ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বছরকে ১২ মাসে, সপ্তাহকে ৭ দিনে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পৃথিবীর সকল দেশেই বারো মাসে বছর নির্ধারণ করা আছে। সপ্তাহের গণনা শুরু শুক্রবার দিয়ে। সুতরাং সফর মাসের শেষ বুধবার ২৮ তারিখ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম অসুস্থতা থেকে সুস্থতা অনুভব করেছিলেন। তখন সাহাবায়ে কেরাম রাসূলের প্রেমে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দান-ছদকা করেছেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিটি বিষয়ই মহান। আখেরি চাহার শোম্বা তার মধ্যে অন্যতম। তাই এ দিবসটি নবীপ্রেমের এক নিদর্শন।

মাহফিলে সভাপতিত্বে করেন চাঁদপুর দারুচ্ছুন্নাত ছালেহিয়া দীনিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও চেয়ারম্যানঘাটা বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মোঃ সাইফুদ্দিন খন্দকার। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন আলোর ছোঁয়া সামাজিক সংগঠনের সভাপতি মাওঃ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন সুফিয়ান। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মোঃ আবদুর রহমান গাজী।

মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন চাঁদপুরের উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন, সাবেক উপ-পরিচালক এবিএম খালিদ, বিসিক চাঁদপুরের সাবেক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ জাকির হোসেন, জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাধারণ সম্পাদক ও চান্দ্রাবাজার নূরিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ এটিএম মোস্তাফা হামিদী, চাঁদপুর আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান খান, কাজী সমিতির সভাপতি মাওঃ মোঃ ফজলুল কবির পাটওয়ারী, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের সাবেক অফিস প্রধান মোঃ সফিউল আলম, জমইয়াতে হিযবুল্লাহ চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার তালীম সম্পাদক মাওঃ মোঃ মাইনুদ্দিন ঢালী, বাইতুল আমিন রেলওয়ে জামে মসজিদের সহ-সভাপতি মোঃ হেদায়েত উল্লাহ মিজিসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।