প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির সভায় তাঁকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তাঁর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
সভায় বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথি ডাঃ মোঃ ইলিয়াছের দীর্ঘ কর্মজীবনের উপর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাছিমা আক্তার।
ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে চাঁদপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছি। পাশাপাশি সরকারের প্রয়োজনে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করেছি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ কর্মজীবনে বহু চড়াই-উতরাই পার করে অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি। দায়িত্ব নেয়ার সময় সারা দেশে চাঁদপুরের অবস্থান ছিলো ৬৩। বর্তমানে প্রসব সেবার সাথে জড়িত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাগণের কর্মস্থলের বাসায় অবস্থানসহ ২৪ ঘণ্টা সপ্তাহে ৭ দিন প্রসব সেবা প্রদানে সারাদেশে শীর্ষে চাঁদপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। এছাড়া প্রসব সেবার সংখ্যায় পবিরার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন জেলার মধ্যে শীর্ষ চারে আমাদের অবস্থান। গত সেবা সপ্তাহে চট্টগ্রাম বিভাগে প্রথম এবং সারা দেশে পঞ্চম হয় চাঁদপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনার কার্যক্রম।
তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে যাবতীয় সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে আমার কর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্যে। একই সাথে কোনো প্রকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছিলো না। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির দিকনির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় কাজ করেছি।
নিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কে ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ বলেন, আমার দায়িত্বাধীন মোট ৬টি রাজস্ব নিয়োগ হয়েছে। সবগুলো নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হয়েছে।
কর্মজীবনের স্মৃতি হিসেবে তিনি চাঁদপুর পাওয়ার হাউজ বালুর মাঠ এলাকায় তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তি জেলা স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত বিভাগের প্রয়োজনে দান করার আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, চাঁদপুরে আসার আগে আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ছিলাম, তাই স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সর্বশেষ নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্রিয়া এবং স্বচ্ছতার কথা তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক।
তিনি বলেন, নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করা দুর্নীতি। কিন্তু আমি জেনেছি, ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ সে কাজ কখনোই করেননি। তিনি সবসময় অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন। তাঁর অবসর-পরবর্তী জীবন সুন্দর ও সুস্থভাবে কাটুক সে দোয়া করি।
সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, ডাঃ মোঃ ইলিয়াছের সর্বশেষ কর্মদিবস ২৮ সেপ্টেম্বর। এটি ছিলো তাঁর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির সর্বশেষ মিটিং।