প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩, ০০:০০
১৭ জুন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন
সম্মেলন না করতে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সর্বোচ্চ চেষ্টা
কেন্দ্রীয় চিঠিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করলেন
কেন্দ্র ঘোষিত তারিখে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন না করার জন্যে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রে তদবির লবিং অব্যাহত রেখেছেন। এমনকি সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে কেন্দ্র থেকে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দেয়া চিঠির যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন কেন্দ্রীয় নির্দেশনার চিঠিকে।
|আরো খবর
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১৭ জুন-২০২৩, এমন দিন-তারিখ নির্ধারণ করে গত মাসে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দেয়া হয় কেন্দ্র থেকে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বরাত দিয়ে এই চিঠি ইস্যু করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এই চিঠি আসার পর সব নড়েচড়ে বসে। দলের তৃণমূল সম্মেলনকে স্বাগত জানাতে থাকে। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল সম্মেলন করার মতো বাস্তব পরিস্থিতি নেই বলে নানা বিষয় তুলে ধরেন। এ সংক্রান্ত চিঠিও তাঁরা দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেন। এই চিঠির মাধ্যম করা হয় দলের সাধারণ সম্পাদককে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের মোট নয়টি ইউনিট রয়েছে। তার মধ্যে সম্মেলন হয়েছে সাতটি। দুই উপজেলার সম্মেলন এখনো হয়নি। তাছাড়া যে সাতটি ইউনিটের সম্মেলন হয়েছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো জেলা কমিটির কাছে জমা দেয় নি। যার কারণে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটর কারা হবেন, কে ঠিক করবেন তা প্রশ্নবোধক। বিতর্কিত ও প্রশ্নবোধক পরিস্থিতিতে আদৌ সম্মেলন করা সম্ভব কিনা তা আপনি (সভাপতি) বিবেচনা করবেন। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের মতামত না নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর থেকে আগামী ১৭ জুন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
দলের সভাপতি বরাবরে তাঁদের এই চিঠির বিষয়টি কেন্দ্রীয় এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন। তাঁরা বলেন, যেসব ইউনিটের সম্মেলন হয়েছে সেগুলোর কোনোটা দেড় বছর আগে, কোনোটা ছয়মাস আগে হয়েছে। এতো সময় পরও কেনো ইউনিটগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা নেয় নি জেলা কমিটি ? এই ব্যর্থতা তো জেলা কমিটির। জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন-তারিখ তো গত বছরই নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন কেনো ইউনিটগুলো থেকে সময় বেঁধে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেয়া হয় নি। আর যে দুটি উপজেলার সম্মেলন হয় নি, সে উপজেলা দুটির সম্মেলন এতোদিনে কেনো করা হলো না? অথচ এগুলোর সবই মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব অজুহাত জিইয়ে রাখা মানে সম্মেলন না করার কৌশল। আর জেলা আওয়ামী লীগের মতামত না নিয়েই কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে-এমন অভিযোগ করে মূলত কেন্দ্রীয় চিঠিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে কেনো তারিখ ঠিক করে দেয়া হলো সেটা জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বুঝতে হবে। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সম্মেলন করার সদিচ্ছা নাই দেখেই কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। জেলা ও কেন্দ্রীয় বেশ ক’জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এহেন কর্মকাণ্ড দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করেন।