বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে ১৩৩ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা ॥ মৃত ১১
নূরুল ইসলাম ফরহাদ ॥

২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আত্মহত্যার পরিসংখ্যান ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে নেই বা দিতে চান না বলে বিভিন্ন পত্রিকা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য সূত্রে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য মতে, গত এক বছরে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আত্মহত্যা করেছে ১১ জন নারী-পুরুষ। তবে গত বছর ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষ খাওয়া রোগী এসেছে ১১৯ জন। ফাঁস দেয়া এসেছে ৩ জন। তবে এরা চিকিৎসা নেয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেন। মূলত পারিবারিক জটিলতা, সম্পর্কের অবনতি, পড়াশোনা নিয়ে হতাশা, আর্থিক সঙ্কট আত্মহত্যার চেষ্টার মূল কারণ।

জানা যায়, দেশে মোট আত্মহত্যার ঘটনা ১৪ হাজার ৪৩৬টি। এর মধ্যে নারীর আত্মহত্যার ঘটনা ৮ হাজার ২২৮টি এবং পুরুষের আত্মহত্যার ঘটনা ৬ হাজার ২০৮টি। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী রয়েছেন ৪৯ শতাংশ, ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৩৫ শতাংশ, ৩৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১১ শতাংশ। সবচেয়ে কম আত্মহননকারী হচ্ছেন ৪৬ থেকে ৮০ বছর বয়সীরা, ৫ শতাংশ।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষ হতাশ হলে ঠুনকো কারণে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারে না। তখন তিনি নিজেকে একা মনে করে এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আপাতদৃষ্টিতে অন্যদের কাছে মৃত্যুর কারণ ছোট মনে হলেও ওই কারণ ওই মুহূর্তে ওই ব্যক্তির জন্য অনেক বড় কারণ হয়ে সামনে এসেছিলো।

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গতবছরের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনা হলো : ৩ ফেব্রুয়ারি উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়ালে ফারজানা আক্তার (১৮) সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ৫ মার্চ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে জুয়েল খন্দকার (৩২) নামে দুই সন্তানের জনক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ৯ মার্চ উপজেলার শাশিয়ালি গ্রামে গলায় ফাঁস দেয়া মোঃ হাসান (২৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৮ এপ্রিল উপজেলার ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রূপসা গ্রাম থেকে পুলিশ এক সন্তানের জনক ইয়াকুব হোসেন (৩০) এর লাশ উদ্ধার করে। সে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানান তার স্ত্রী। ২ জুন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কেরোয়া গ্রামে মোঃ ফরহাদ (১৬) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ৬ জুলাই উপজেলার সন্তোষপুরে নাজমা আক্তার রুনা (১৮) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ১৮ আগস্ট উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন থেকে জান্নাত খাতুন (২৫) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ২২ সেপ্টম্বর উপজেলার গুপ্টি পশ্চিমে ১১ বছরের তারেকুল ইসলাম নামের এক শিশুর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৯ অক্টোবর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রাম থেকে লাকী বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে ঘরের আড়ার সাথে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। ৩ নভেম্বর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রামের রাকিব (২০) নামের এক তরুণ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়