বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি : প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মুখোমুখি -১৮

কলেজটিকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই

---------রহিম বাদশা

কলেজটিকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই
আলআমিন হোসাইন ॥

রহিম বাদশা ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ত। চাঁদপুর সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালেও তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের দু দফা সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে প্রেসক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

‘চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি : প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মুখোমুখি’ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পর্বে আজ কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাংবাদিক রহিম বাদশার কথা তুলে ধরা হলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কত সালে, কোন্ শ্রেণিতে চাঁদপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন?

রহিম বাদশা : আমি ২০০০ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হই। এখান থেকেই স্নাতক সম্পন্ন করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সে সময় কলেজের পরিবেশ কেমন ছিলো?

রহিম বাদশা : অবকাঠামোগত দিক থেকে সে সময়ে আমাদের কলেজটি ভবন ও শ্রেণিকক্ষ সঙ্কটে ভুগছিলো। এমনও হয়েছে, এক বর্ষের শিক্ষার্থীরা যখন ক্লাস করেছে তখন অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছে পরবর্তী ক্লাসের জন্যে। অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু থাকলেও সব বিভাগে সেমিনার কক্ষ কিংবা লাইব্রেরি পর্যন্ত ছিলো না। স্টোররুম টাইপের আমাদের বাংলা বিভাগের ছোট্ট সেমিনার কক্ষটিতে ১০-১২ জনের বেশি বসা যেতো না। একটি আলমিরায় সীমাবদ্ধ ছিলো বিভাগীয় লাইব্রেরি। সেটি কখনো সেমিনার কক্ষে, কখনো বিভাগীয় প্রধানের কক্ষে থাকতো। তবে বিশাল কলেজ মাঠে ছিলো আমাদের আড্ডার অবারিত-অফুরান সুযোগ। সে সময় ছাত্র-শিক্ষকের শ্রদ্ধা-স্নেহে ক্যাম্পাসে আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করতো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার প্রিয় শিক্ষক এবং সহপাঠী ছিলেন কারা? তাদের সম্পর্কে কিছু বলুন।

রহিম বাদশা : শ্রদ্ধেয় ও প্রিয় শিক্ষকের তালিকা অনেক বড়। এককথায় বলতে গেলে শিক্ষক হিসেবে যাঁদের পেয়েছি তাঁরা সবাই ছিলেন আমার কাছে শ্রদ্ধেয় ও প্রিয়। এর মধ্যে প্রফেসর মনোহর আলী (বর্তমানে মরহুম), প্রফেসর মিহির কান্তি রায়, প্রফেসর প্রণব কান্তি রায় ছিলেন বিশেষভাবে প্রিয়। আর সহপাঠী সবার সাথেই ভালো সম্পর্ক ছিলো। সেই সূত্রে সবাই প্রিয়। বিশেষভাবে প্রিয় ছিলো রোকেয়া বেগম (বর্তমানে সহধর্মিণী)। আমার শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন সময় অতিবাহিত হয়েছে চাঁদপুর সরকারি কলেজে। স্মর্তব্য সেই দিনগুলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজের ৭৫ বছরপূর্তিতে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

রহিম বাদশা : এমন আয়োজনের জন্যে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী হতে যাচ্ছে। আমরা সৌভাগ্যবান এজন্যে যে, এর মধ্যে দ্বিতীয় বারের মতো পুনমির্লনীতে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি আমরা। আয়োজক কমিটির নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিকতা প্রশংসনীয়। তবে অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণকারী আরো বেশি হলে ভালো লাগার মাত্রা আরো বাড়তো। তাছাড়া আয়োজনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা খুব কম বলে মনে হচ্ছে। আমার কাছে মনে হয়, এসব আয়োজনে মানের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী কতটা ব্যাপক এবং মিলনমেলা কতটা আন্তরিকতাপূর্ণ। এসব আয়োজন কখনোই কর্পোরেট আদলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টনির্ভর হওয়া ঠিক নয়। তাতে প্রাণের স্পন্দন ও উচ্ছ্বাসের ঘাটতি থেকে যায়।

চাঁদপুর কণ্ঠ : কলেজটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা/স্বপ্ন কী?

রহিম বাদশা : চাঁদপুর সরকারি কলেজে শুধু চাঁদপুর নয়, পাশের জেলা লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর ও কুমিল্লার বহু ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে আসছে সুদীর্ঘকাল ধরে। উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) কোর্স নিয়ে পৃথক কলেজ করে চাঁদপুর সরকারি কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখতে চাই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : উল্লেখিত প্রশ্নের বাইরে আপনার কোনো কথা থাকলে বলুন।

রহিম বাদশা : মাত্র এক যুগের ব্যবধানে চাঁদপুর সরকারি কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন-উন্নতি দেখে এখানকার ছাত্র হিসেবে আমি গর্বিত, মুগ্ধ ও উদ্বেলিত। নতুন নতুন সুউচ্চ ভবন, একের পর এক বহুতলবিশিষ্ট ছাত্রাবাসের পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ নান্দনিক ও অনিন্দ সুন্দর করার যে মহাযজ্ঞ চলছে, অচিরেই তা জেলাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হবে আশা করছি।

উল্লেখ্য, রহিম বাদশা চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের জেলা সমন্বয়কারী ছিলেন। গণমাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে রাষ্ট্রীয় সফরে ২০১৬ সালে জাপান ও ২০১৮ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত ‘জি-৭’ সম্মেলনে যোগদান করেন। তিনি বাংলাভিশন টেলিভিশনের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। ইতোপূর্বে তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ, দৈনিক চাঁদপুর দর্পণ, সাপ্তাহিক চাঁদপুর সংবাদ, সাপ্তাহিক চাঁদপুর, দৈনিক আজকের পত্রিকা, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, এসটিভি ইউএস-সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়