বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

সিত্রাংয়ে ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর বিদ্যুৎবিহীন দুইদিন
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানার আগ থেকেই যে বিদ্যুৎ নিয়ে গেছে, সে থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। সিত্রাংয়ের আঘাতে এই দু উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ প্রায় ৩০টির মতো ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে আমন ও শীতকালীন শাকসবজি। উপজেলার সর্বত্র গাছপালা ভেঙ্গে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, সিত্রাংয়ের প্রভাবে রোববার রাতে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর আওতাধীন ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় এ নিউজ লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টির পানি ফসলি জমিতে জমার কথা জানিয়ে ফরিদগঞ্জের রেজু মুন্সী, আঃ খালেক, অহিদ উল্যাহ, দেলোয়ার হোসেন ও শওকতসহ বেশ ক’জন কৃষক জানান, এমনিতেই রোপা আমনে আমরা ভুগছি। এর উপর টানা বর্ষণ ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফসলগুলো পানির নিচে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ঝড়ের কারণে ২৫৫০ হেক্টর রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে ১৮০ হেক্টর শীতকালীন শাকসবজিও পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার জানান, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পাইকপাড়া জুনিয়র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মানিকরাজ গ্রামের একটি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া আরো ১৬টি ঘর ঝড়ের কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাপ্ত সংবাদ থেকে অনুমান করা গেছে, প্রায় ত্রিশটির মতো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী কামাল হোসেন জানান, বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ পড়ায় আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে পারিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসছিমুননেছা জানান, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আসতে শুরু করেছে। এখই চূড়ান্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। তবে ফসল ও বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়