বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই মহান এ পেশাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥

মোঃ আলমগীর তালুকদার। কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি। ২০১২ সাল থেকে প্রায় ৮ বছর প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে অধিষ্ঠিত থেকে সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দেন। ২০০৭ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আইন বার্তা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর সাংবাদিকতার শুরু হয়। দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে তিনি বেশ কিছু পত্রিকা ও টেলিভিশনে কাজ করেন। ২০০৯ সালে কচুয়া থেকে প্রকাশিত প্রথম সাপ্তাহিক ‘কচুয়া বার্তা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনি দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার কচুয়া উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া তিনি স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘বাংলা ভিশন’ চ্যানেলের কচুয়া প্রতিনিধি হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। এ পেশার বাইরেও তিনি একজন শিক্ষানুরাগী হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক প্রতিবেদন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের ভাবনা শীর্ষক ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পর্বে আজ মোঃ আলমগীর তালুকদার তাঁর অভিব্যক্তি তুলে ধরছেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার উপজেলার সাংবাদিকতা অতীতের সকল সময়ের চেয়ে কি গতিশীলতা পেয়েছে? গতিশীলতা পেলেও কি মান রক্ষা হচ্ছে?

মোঃ আলমগীর তালুকদার : অতীতের চেয়ে সাংবাদিকতায় গতিশীলতা বেড়েছে। অসাংবাদিকের দৌরাত্ম্যের কারণে মান তেমন একটা বাড়েনি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : পত্রিকাগুলোর প্রিন্টিং সংস্করণের পাঠক এবং টিভি সংবাদের শ্রোতাণ্ডদর্শক দিনদিন কমছে। কারণ কী? এমনটি রোধের উপায় কী?

মোঃ আলমগীর তালুকদার : প্রিন্টিং পত্রিকার পাঠক ক্রমান্বয়ে কমছে। কারণ, অনলাইন সংস্করণেই অনেকে পত্রিকা দেখে নেয়। তাই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইন সংস্করণে পত্রিকা ও টিভি সংবাদ আপগ্রেড করা আব্যশক। প্রিন্টিং পত্রিকায় পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী সমসাময়িক সমস্যাগুলো তুলে ধরে সংবাদ পরিবেশন করলে শ্রোতাণ্ডদর্শক ধরে রাখা সম্ভব হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আজকাল গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বিভিন্ন মহল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করতে চাইছে। অনেকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ব্যবহৃতও হচ্ছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য/বিভাজন থেকে এমনটি হচ্ছে। আপনার অভিমত কী?

মোঃ আলমগীর তালুকদার : গণমাধ্যমকর্মীগণ নিজেদের পেশার বিষয়ে সম্যক জ্ঞান না থাকার কারণে, তাদের আর্থিক সংকট ও রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে অনেক সময় সংবাদ প্রকাশে অন্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের উচিত মফস্বলের সাংবাদিকদের বছর অন্তর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ পেশায় দায়িত্বশীল ও দক্ষ সংবাদকর্মী গড়ে তোলা প্রতিটি পত্রিকা ও সম্পাদকের উচিত বলে আমি মনে করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সংবাদ পরিবেশনে তাৎক্ষণিকতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনলাইন সাংবাদিকতার জোয়ার। এতে কেউ কেউ অপসাংবাদিকতার সুযোগ বা আশ্রয় নিচ্ছে। সকল সংবাদের ক্ষেত্রে কি তাৎক্ষণিকতা প্রয়োজন? আপনার মতামত জানতে চাই।

মোঃ আলমগীর তালুকদার : পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী অনলাইন সংস্করণ আবশ্যক। সংবাদকর্মী নিয়োগের ব্যাপারে অবশ্যই সম্পাদকদের যত্নবান হতে হবে। কারণ, আজকাল দেখা যায় মোবাইল দোকানদার, মুদি ব্যবসায়ী, পত্রিকার হকার যাদের সংবাদপত্রের কাজে অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই তাদেরকে পত্রিকার সম্পাদকগণ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে প্রেস কার্ড প্রদান করছেন। এ সকল সাংবাদিক (!) মহান এ পেশায় প্রবেশ করে পত্রিকার আইডি কার্ড ব্যবহার করে সাংবাদিকতার পেশাকে কলুষিত করছে। সকল সংবাদের ক্ষেত্রে অনলাইন সংস্করণ আবশ্যক নয়। কারণ, সংবাদের পেছনের অপ্রকাশিত বিষয়গুলো জনসম্মুখে অপ্রকাশিত থেকে যায়। আমি মনে করি, সময় নিয়ে সংবাদের সকল তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে সংবাদ পরিবেশন করা উচিত।

চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্নসমূহের বাইরে আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে প্রদান করতে পারেন।

মোঃ আলমগীর তালুকদার : সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করে কিছু হলুদ সাংবাদিক নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে মানুষকে জিম্মি করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে। আমি মনে করি, আনাড়ি-অদক্ষ ও অযোগ্য ব্যক্তিদের হাতে কলম তুলে দেয়া মানে কানার হাতে কুড়োল দেওয়ার সামিল। আমার বিশ্বাস, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই মহান এ পেশাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়