বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

কুকুরের মতো দফায় দফায় পেটালো খেলতে আসা শিক্ষার্থীদের। তাদের অপরাধ, কেনো খেলায় বিজয়ী হলো। ফরিদগঞ্জে গত মঙ্গলবার ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফুটবল খেলায় এই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৯ জনকে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে খেলার মাঠে হামলা ও পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় বুধবার (৭ সেপ্টম্বর) ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে ২ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে মারধরের সঙ্গে উপজেলা সদরের ফরিদগঞ্জ এ.আর. পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিলো বলে শোল্লা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম খেলা ছিলো। খেলায় ফরিদগঞ্জ এ.আর. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মুখোমুখি হয় শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে খেলা শেষ হয়। পরে টাইব্রেকারে শোল্লা স্কুলের শিক্ষার্থীরা ৩-১ গোলে বিজয়ী হয়। এতে তারা আনন্দণ্ডউল্লাস করছিলো। ওই সময়ে আনন্দণ্ডউল্লাস বন্ধ করে দ্রুত গাড়িতে উঠে মাঠ ত্যাগ করার জন্যে ক’জন কিশোর ও তরুণ বিজয়ীদের নির্দেশ দেয় ও বাক্বিত-ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে বেশ কিছু সংখ্যক ছেলে শোল্লা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে কয়েক দফায় বেদম মারধর করে। অন্যরা শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার জন্যে তাদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

শোল্লা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আরিফুর রহমান নিজ স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য ফরিদগঞ্জ এ.আর. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দায়ী করেন। ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা হকিস্টিক, রড, লাঠিসোটা নিয়ে শোল্লা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয় ও বেদম মারধর করে। ইউএনওকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।

এ ব্যাপারে জানার জন্যে ফরিদগঞ্জ এ.আর. পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমি যতটুকু জেনেছি বহিরাগত কিছু লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

এদিকে খেলার মাঠে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে আহত করার ঘটনা নিয়ে বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, ইউএনও তাসলিমুননেছাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জরুরি সভায় বসেন। তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদকে প্রধান করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। একই সাথে কমিটিকে আগামী দুইদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের নিদের্শনা দেন। বিয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়