প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
মালিক সমিতি ও কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে কচুয়া-ঢাকা সড়কে সুরমা সুপার পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ হয়েছে। এতে এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করা প্রায় ৫ হাজার যাত্রীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ হতে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জগামী সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সুরমা বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে সুরমা বাস মালিক সমিতির সভাপতি সালাম সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মজুমদার জানান, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের প্ররোচনায় কিছু ব্যক্তি শ্রমিক পরিচয়ে ২৪ আগস্ট বুধবার কচুয়া কাউন্টার দখল করে নেয়। এ সময় তারা কেরানী শফিকুল ইসলামকে মারধর করে কাউন্টার থেকে তাড়িয়ে দিয়ে প্রত্যেক বাস থেকে ২শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় ৫টি গাড়ির ব্যাটারি ও চাবি নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুব আলম জানান, এই পরিবহনে হাজীগঞ্জ থেকে আমার একটি বাস চলাচলের সুযোগ দিলেও নতুন আরেকটি বাস শাহরাস্তি বাস টার্মিনাল থেকে চলাচলের অনুমতি চাইলে সুরমা সুপার বাস মালিক সমিতি আমার সাথে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। কিছু দিন পূর্বে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আমার বাস থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায় এবং বাস ভাংচুর করে। তাই আমার লোকজন জনসম্মুখে তাদের গাড়ির ব্যাটারি খুলে নেয়।
তিনি আরো দাবি করেন, বাস শ্রমিক সংগঠনের জিপির নামে দৈনিক ১৭শ’ ২০ টাকা উত্তোলন করে। সেই টাকা বাস শ্রমিক সংগঠনের গুটিকয়েক আত্মসাৎ করে। তাদের প্রতি সংগঠনের অধিকাংশ শ্রমিক ক্ষুব্ধ। এ ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কেরানি শফিকুল ইসলামের পরিবর্তে জিপির টাকা আদায় করছে।
গতকাল বুধবার সকালে রহিমানগর সুরমা যাত্রী ছাউনিতে গেলে ঢাকা অভিমুখী প্রায় অর্ধশত যাত্রীকে অপেক্ষমান অবস্থায় দেখা যায়। যাত্রী রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মনির হোসেন, জায়েদ হাসান, তৃণা আক্তার, মাহমুদা আক্তার ও জান্নাত আক্তার জানান, এই রূটে অন্য কোনো বাস না থাকায় আমরা সবসময় সুরমা বাস দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে থাকি। হঠাৎ করে আজ বাস সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। দ্রুত সমস্যাটির সমাধান করে সুরমা সুপার বাস সার্ভিসটি চালু হবে বলে প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সমস্যার সমাধান করে শীঘ্রই বাস চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্যে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে বলা হয়েছে।