প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০
লকডাউনের মধ্যে রাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো হিন্দু পরিবারের এক মেয়ের বিয়ে। কিছুক্ষণের মধ্য লগ্ন শুরু হবে। চারদিকে বিয়ে বাড়ির আনন্দ। বাড়ির সামনে গেট এবং লাইটিংসহ সব প্রস্তুতি বিকেলের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। লগ্ন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বরযাত্রী কনের বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে। ঠিক এমন মুহূর্তে বিয়ে বাড়িতে স্বয়ং ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের হানা। কঠোর লকডাউনে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয় কী করে? বিয়ে হবে তবে অনুষ্ঠান হবে না। সব অনুষ্ঠান বন্ধ। মাত্র ৪/৫ জনের উপস্থিতিতে লগ্ন ঠিক রেখে বিয়ের কার্য সম্পন্ন হবে-এটা ম্যাজিস্ট্রেটে নির্দেশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে বর-কনের উভয় পক্ষের ৪ জনের উপস্থিতিতে ঘরের মধ্যে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হলো।
হ্যাঁ, এটি কোনো সিনেমা বা নাটকের দৃশ্য নয়, ঘটনাটি বুধবার রাতে হাজীগঞ্জের ধড্ডা এলাকার একটি হিন্দু পরিবারের বিয়ের ঘটনা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার।
আদালত সূত্র জানা যায়, তাদের কাছে খবর আসে কুমিল্লার লাকসাম এলাকার অমল চন্দ্রের মেয়ে রূপালী ১৮ (ছদ্মনাম)কে ধড্ডায় তার নানার বাড়িতে এনে হাজীগঞ্জের উচ্চঙ্গা গ্রামের হারাধনের ছেলে কমল দাসের সাথে অনুষ্ঠান করে লোকজন দাওয়াত দিয়ে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। এমন খবরে রাতেই বিয়ে বাড়িতে এসে ঘটনার সত্যতা পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। লকডাউনের মধ্যে এমন অনুষ্ঠান হতেই পারে না। এরপরেই আদালতের নির্দেশে বিয়ে বাড়ির গেট খুলে ফেলাসহ সকল অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, হিন্দু বিয়ের লগ্ন একটা বড় বিষয়। তাই আমরা লগ্ন ঠিক রেখে অনুষ্ঠান বন্ধ করে ঘরের মধ্যে বিয়ের কাজ শেষ করার জন্যে ব্যবস্থা করেছি।