শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় খালু কর্তৃক দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
  •   সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় ইমামকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ!
  •   এনআইডিতে ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
  •   জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি
  •   নিখোঁজের একদিন পর বৃদ্ধের মরদেহ মিললো পুকুরে

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০

‘এতিমখানা নামেই যতো সমস্যা’
প্রবীর চক্রবর্তী ॥

এতিম নামেই যত সমস্যা! আর এই এতিম কথাটি শুনলে যে কারোরই ভ্রু কুঁচকে যায়। এতিমদের প্রতি স্বয়ং আল্লাহরই বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। এতিমদের আবার কী হলো ? আসলে বাস্তবচিত্রটি হলো এতিমখানা নিয়ে। এতিমখানা নাম দিয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমশই এতিম শিক্ষার্থীদের না পেয়ে নির্জীব হয়ে পড়েছে। লোকজন আজকাল নিজেদের এতিম স্বজনদের এই নামে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানে দিতে অনীহা প্রকাশ করছে। যার জ্বালন্ত উদহারণ ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ হযরত আবু কবর ছিদ্দিকী আল-কোরাইশী ও পীর মোসলেউদ্দিন (রঃ)-এর এতিমখানাটি। ১৯৯৩ সালে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে এতিম শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ২০ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে জড়িত বর্তমান ও সাবেক অনেক জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের লোকজন।

জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে একটি টিনের ঘর দিয়ে উক্ত এতিমখানার কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে একটি চারতলা ভবন নির্মিত হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে এতিমখানায় সুনসান নীরবতা প্রত্যক্ষ করা গেছে। ঈদের ছুটির কারণে এতিমরা তাদের বাড়ি গেছে। এতিমখানার কেয়ারটেকার মিজানুর রহমান জানান, এই সুযোগে এতিমখানার উন্নয়নমূলক কিছু কাজ হচ্ছে।

এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, ১৯৯৮ সালে তিনি ফরিদগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এতিমখানাটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতিমখানার কমিটিতে বর্তমান মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম কন্ট্রাক্টর এবং বেশ ক’জন সাংবাদিক জড়িত রয়েছেন। আমাদের ব্যক্তিগত দান-অনুদান এবং সরকারি অনুদান দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মাটি ভরাটসহ ক্রমান্বয়ে উন্নয়ন করে চলেছি। কিন্তু এতিম শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। একের পর এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েও কাজে আসছে না।

তিনি বলেন, আশপাশে বেশ কটি লিল্লাহ বোর্ডিং নামের প্রতিষ্ঠানে অনেক এতিম রয়েছে। ফলে আমার কাছে মনে হয়েছে ‘এতিমখানা’ নামটিই সমস্যা। শুধু এটি নয়, ইসলামপুরে স্থাপিত এতিমখানারও একই অবস্থা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি হেফজখানা গড়ে তুলবো। একই সাথে এই এতিমখানার পশ্চিম পাশে ৪৫শতক ভূমিতে একটি মহিলা এতিমখানা গড়ে তুলবো। দ্বীনের খেদমতে আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়