প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
আক্তার হোসেন দুলাল। হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক। অনেকটা বলা চলে একেবারে ছোট বেলা থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ও পরে একই সংগঠনের সভাপতি পদ নিয়ে রাজনীতি শুরু করেন। ছোট বেলায় নিজের খুশি মনে বিএনপির মিছিলে চলে যেতেন। সেই থেকে বিএনপিকে ভালোবাসেন মনপ্রাণ দিয়ে আর বিএনপির আদর্শে রাজনীতি শুরু করেন। এখন বিএনপির বিশ্বস্ত এক নেতা হিসেবে উপজেলার হাজার হাজার নেতা-কর্মীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। হাজীগঞ্জ বাজারে পৈত্রিক ব্যবসা পরিচালনা করছেন সফলতার সাথে। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করলেও দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও।
আক্তার হোসেন দুলাল বর্তমান দায়িত্ব পালনের পূর্বে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক।
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক আয়োজন রাজনৈতিক ভাবনা পর্বে আক্তার হোসেন দুলাল তার মনের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার দৃষ্টিতে যে কোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন কিসের নিরিখে হয়? এজন্যে কী কী করতে হয়?
আক্তার হোসেন দুলাল : দলের প্রতি বা সংগঠনের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ও দল গোছানোর ভূমিকা পালন করে, ত্যাগী, মাঠ পর্যায়ে অবস্থান ভালো রয়েছে সেই আলোকে মনোনয়ন দেয়া হয়। এক কথায় দলের কাজে নিবেদিত হতে হবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : স্থানীয় পর্যায়ে নিজ দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল কী কী কারণে হয় বলে আপনার ধারণা? এ কোন্দল নিরসনে জেলা পর্যায় বা কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতার সাংগঠনিক ব্যবস্থাগ্রহণের হুঙ্কার সাধারণত দ্রুত উচ্চারিত হয় না। এটার হেতু কী?
আক্তার হোসেন দুলাল : দলের অভ্যন্তরে নিজেদের একটা অংশ ব্যক্তি-সুবিধা ভোগ করার জন্যে দলের মূল স্রোতকে বিভাজন করে। এর পেছনে সরকার থেকে সুবিধা নেয়াটা বড় একটা কারণ। দলে নেতৃত্ব দেয়ার মতো অনেক লোক রয়েছে, তবে সবাইকে তো পদে দেয়া সম্ভব নয়। সেজন্যে পদণ্ডবঞ্চিতরা দলে বিভাজন সৃষ্টি চেষ্টা করে। জেলা বা কেন্দ্র ব্যবস্থা না নেয়ার মূল কারণ হচ্ছে ব্যক্তি-সুবিধা। এটা আমার নিজস্ব অভিমত।
চাঁদপুর কণ্ঠ : দলের তৃণমূলের বর্ধিত সভায় কিংবা সাধারণ বর্ধিত সভায় খোলামেলা অনেক কথা হয়। অনেক তিক্ত সত্য কথা উচ্চারিত হয়। এগুলো কি আদৌ আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়?
আক্তার হোসেন দুলাল : আমার দেখা মতে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমলে নেয়া হয়, কিছু ক্ষেত্রে নেয়া হয় না।
চাঁদপুর কণ্ঠ : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা ও দলীয় গঠনতন্ত্র যথাযথভাবে মেনে চলার গুরুত্ব কতোটুকু? আপনি কি মনে করেন, আপনার দলে উক্ত চর্চা ও মেনে চলার কাজটা যথাযথভাবে হচ্ছে?
আক্তার হোসেন দুলাল : রাজনীতিতে আদর্শের চর্চা আর দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে চলার গুরুত্ব আবশ্যিক বিষয়। কিন্তু এখনকার রাজনীতিতে আদর্শিক শিক্ষার বড়ই অভাব চোখে পড়ে। বড় সমস্যা হলো, এখনকার রাজনীতিকরা পদ-পদবীতে ব্যস্ত, আদর্শের বা গঠনতন্ত্রের ধারধারী হতে চায় না বেশির ভাগ নেতা-কর্মী। আমার দলে রাজনৈতিক আদর্শ আর গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত আছে।