বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

৫৬ বছরের বাংলাদেশ পেপার হাউজ অস্তিত্ব সঙ্কটে

৫৬ বছরের বাংলাদেশ পেপার হাউজ অস্তিত্ব সঙ্কটে
পাপ্পু মাহমুদ ॥

হাজীগঞ্জের প্রথম পেপার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেপার হাউজ অস্তিত্ব সঙ্কটে রয়েছে। অনলাইন মিডিয়ার যুগে খবরের কাগজ বিক্রি ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান এই পেপার হাউজের পরিচালক আজিজুল হক মজুমদার। পত্রিকা বিক্রিতে ধস নামে ২০১৪-১৫ সাল থেকে। আগের তুলনায় বর্তমানে পত্রিকা বিক্রি অর্ধেকেরও নিচে নেমে এসেছে। কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশ পেপার হাউজ ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার কপি পত্রিকা বিক্রি করতো। বর্তমানে ৫শ’ থেকে ৬শ’ কপি পত্রিকা বিক্রি হয়।

জানা যায়, ১৯৬৬ সালে মরহুম নুরুল হক মজুমদার অন্য ব্যবসার পাশাপাশি পেপার বিক্রি শুরু করেন। তিনি দৈনিক পয়গাম, দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, মর্নিং নিউজ, পাকিস্তান অবজারভার, ইত্তেফাকসহ কয়েকটি খবরের কাগজের এজেন্ট নিয়ে বাংলাদেশ পেপার হাউজের ব্যবসা শুরু করেন। সে সময় রমরমা ব্যবসা হয়। ১৯৭৬ সালে নুরুল হক মজুমদার মৃত্যুবরণ করলে পত্রিকার ব্যবসার হাল ধরেন তাঁর ছেলেরা। এখনো বাবার স্মৃতিবিজড়িত ব্যবসা ধরে আছেন এই ছেলেরা। পত্রিকার ব্যবসায় ধস নামায় বর্তমানে নিজেরাই এই পত্রিকা বিলি করছেন।

পেপার বিক্রেতা মোঃ এহতেশামুল হক মজুমদার জানান, আগে আমি দৈনিক ৫-৬শ’ কপি পত্রিকা বিক্রি করতাম। বর্তমানে ৩শ’ কপি পত্রিকা বিক্রি করতেই কষ্ট হয়। অন্যান্য জিনিসের তুলনায় পত্রিকার মূল্য অনেক কম। তারপরও মানুষ পত্রিকা কিনতে চায় না।

বাংলাদেশ পেপার হাউজের পরিচালক আজিজুল হক মজুমদার বলেন, এ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে প্রতিদিনই দায় দেনা বাড়ছে। ছোটকাল থেকেই বড় ভাইয়ের সাথে বাবার এ ব্যবসার হাল ধরি। এখন ইচ্ছে করলেও অন্য কিছু করতে পারি না। করোনার পর থেকেই পত্রিকার ব্যবসা একেবারেই খারাপের দিকে। আগে ৪/৫জন হকার আমাদের ছিলো। বর্তমানে ভাই ও ভাতিজারা মিলে পত্রিকা বিলি করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়