প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
মামুনুর রশিদ পাঠান। ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের উন্নয়ন কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি টানা দুবার সফলতার সাথে প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং একবার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আহ্বায়ক হিসেবে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের উন্নয়ন-যাত্রা শুরু করেন।
মামুনুর রশিদ পাঠান ১৯৮৬ সালে গোলাম কিবরিয়া জীবনের হাত ধরে চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চাঁদপুর পত্রিকার মাধ্যমে ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদপত্র জগতে পা রাখেন। ১৯৯০ সালে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমাচার পত্রিকার ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে দৈনিক ইনকিলাবের ফরিদগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে যোগদান করে অদ্যাবধি সে পদে কর্মরত আছেন। এছাড়া তিনি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ফরিদগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবেও কর্মরত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সফল প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার।
‘সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের ভাবনা’ শীর্ষক দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার পর্বে আজ মামুনুর রশিদ পাঠান তার অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার উপজেলায় সাংবাদিকতা অতীতের সকল সময়ের চেয়ে কি গতিশীলতা পেয়েছে? গতিশীলতা পেলেও কি মান রক্ষা হচ্ছে?
মামুনুর রশিদ পাঠান : বর্তমানে সাংবাদিকতার গতিশীলতা অনেক বেড়েছে। বেড়েছে সংবাদকর্মীর সংখ্যা, কিন্তু কমেছে মান।
চাঁদপুর কণ্ঠ : পত্রিকাগুলোর প্রিন্টিং সংস্করণের পাঠক এবং টিভি সংবাদের শ্রোতাণ্ডদর্শক দিনদিন কমছে। কারণ কী? এমনটি রোধের উপায় কী?
মামুনুর রশিদ পাঠান : অধিক পরিমাণ পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের কারণে পাঠক কমছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন পত্রিকার সংবাদ দেখে প্রিন্ট পত্রিকা ও চ্যানেলের প্রতি আগ্রহ হ্রাস পাচ্ছে। রোধের উপায় হচ্ছে, পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল বের করার হিড়িক থেকে বের হতে হবে। মানসম্পন্ন পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলই পাঠক ও দর্শক ধরে রাখতে পারে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আজকাল গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিভিন্ন মহল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করতে চাইছে। অনেকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ব্যবহৃতও হচ্ছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য/বিভাজন থেকে এমনটি হচ্ছে। আপনার অভিমত কী?
মামুনুর রশিদ পাঠান : আসলেই এটি সত্য কথা। মফস্বলের অধিকাংশ গণমাধ্যমকর্মী বেতন তো দূরের কথা, ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পায় না সংশ্লিষ্ট মিডিয়া থেকে। এছাড়া নিজের স্বার্থের জন্যে বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিস্থিতির শিকার হয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাংবাদিকরা নিজেদের মান-সম্মান ধরে রাখতে হলে দলীয় লেজুড় বৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : সংবাদ পরিবেশনে তাৎক্ষণিকতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনলাইন সাংবাদিকতার জোয়ার। এতে কেউ কেউ অপসাংবাদিকতার সুযোগ বা আশ্রয় নিচ্ছে। সকল সংবাদের ক্ষেত্রে কি তাৎক্ষণিকতা জরুরি? আপনার মতামত জানতে চাই।
মামুনুর রশিদ পাঠান : ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস বা সোর্সের কাছ থেকে তথ্য পেয়েই তাৎক্ষণিক সংবাদ দিতে গিয়ে অনেক সময় ভুল ও আংশিক সত্য সংবাদ চলে যাচ্ছে। তাৎক্ষণিকতার জোয়ারে নিজেকে না ভাসিয়ে একটু সময় নিয়ে সঠিক সংবাদ প্রেরণ জরুরি। এমন জোয়ারের কারণে অপসাংবাদিকতা বাড়ছে। এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্নসমূহের বাইরেও আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে প্রদান করতে পারেন।
মামুনুর রশিদ পাঠান : মফস্বলের সাংবাদিকদের নিজেদের নীতি-নৈতিকতা ধরে রাখার সাথে সাথে সংসার চালানোর জন্যে অন্য পেশা যেমন ব্যবসা বা চাকুরিকেও বেছে নিতে হবে। কারণ মফস্বলে সাংবাদিকতা করে সংসার চালানো দুরূহ ব্যাপার। এতে অপসাংবাদিকতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।