প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা ও সুদৃশ্য অপরূপ ইন্টেরিয়র ডিজাইন। অসামান্য কারুকাজ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় ছোট পরিসরে তৈরি করা হয়েছে ফুলবাগান। রয়েছে পাঠাগারও। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে গড়া ‘শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ দুদিনের জন্য চাঁদপুর রেল স্টেশনে পৌঁছেছে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষ পরিদর্শন করে জানার সুযোগ পাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা ইতিহাস।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ উদ্যোগে চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ঘুরে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর এসে পৌঁছেছে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেলগাড়ী জাদুঘর। গতকাল বুধবার এই ভ্রাম্যমাণ রেলগাড়ী জাদুঘর উদ্বোধন করেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। তিনি গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় রেলওয়ে বড় স্টেশনে ফিতা কেটে এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন এই জাতির সম্পদ। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাঙালির হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু অমর হয়ে থাকবেন। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন এবং বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশকে প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার যে উদ্যোগটি নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি বাংলাদেশ রেলওয়েকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াছ, মোঃ শফিকুল ইসলামসহ রেলওয়ের স্থানীয় কর্মকর্তাগণ। উদ্বোধন করে মেয়র জাদুঘর ঘুরে দেখেন এবং পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখেন।
৩০ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে সাগরিকা কমিউনিটার ট্রেনের সাথে ৩টি বিশেষ বগিবিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেলগাড়ী জাদুঘরটি সংযুক্ত হয়ে চাঁদপুর এসে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত স্টেশান মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার।
তিনি বলেন, ১ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেলগাড়ী জাদুঘর নামের রেলগাড়ীটি চাঁদপুরে অবস্থান করবে। সকাল ১০টা হতে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এটি প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এখানে ৩টি বগি নিয়ে রেলগাড়ীটি তৈরি। যার মধ্যে ১টি বগিতে ইলেকট্রিক পাওয়ারকার (যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ-এর কাজ হয়), অন্যটিতে এটি রক্ষণাবেক্ষণের স্টাফদের বিশ্রামাগার এবং ৩য় বগিতে জাদুঘর। ওই জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ডকুমেন্টারি রয়েছে।