মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

ঘাটে গাড়ির অপেক্ষায় এখন বসে থাকে ফেরি!
মিজানুর রহমান ॥

পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় এর প্রভাব পড়ছে চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌ রুটের ফেরিগুলোতে। বর্তমানে এ রুটে ১টি রো রো ফেরিসহ ছোট-বড় মোট ফেরি রয়েছে ৮টি। প্রায় অর্ধেকের বেশি গাড়ি কমে যাওয়ায় মাত্র ৩টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। অন্য ফেরিগুলোকে ঘাটেই বসে থাকতে হয়। এক কথায়, ঘাটে ফেরি আছে তো গাড়ি নেই। ঘাটে গাড়ির অপেক্ষায় এখন বসে থাকে ফেরি!

এ ফেরি দিয়ে পূর্বে যতো সংখ্যক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করতো, তার ৯০ শতাংশ এখন চলাচল করে না। হাতে গোণা ক’টি বাস এখান দিয়ে এখন ফেরি পার হচ্ছে। অথচ দুই মাস আগেও এই ফেরি পাড়ি দিতে এ ঘাটে শত শত গাড়িকে ঘণ্টার পর ঘন্টা এমনকি সিরিয়াল দিয়ে এক-দুদিনও অপেক্ষায় থাকতে হতো। আর যাত্রীরা পড়তেন অবর্ণনীয় দুর্ভোগে। পদ্মা সেতুর ফলে তৈরি হয়েছে বিপরীত চিত্র। এখন যাত্রী আর গাড়ির অপেক্ষায় উল্টো ফেরিকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে।

দেশের অন্যতম নৌ ফেরিরুট চাঁদপুরের হরিণা ও শরিয়তপুরের নরসিংহপুর। এ রুট দিয়েই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার কয়েক হাজার মানুষ, শত শত বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার এবং বিভিন্ন মালামালের গাড়ি প্রতিদিন মেঘনা পাড়ি দিতো। বছরের বেশির ভাগ সময় এ নৌপথে ভিড় আর জট লেগে থাকলেও পদ্মা সেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গে এই ফেরিঘাটের চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করেছে। মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সেখান দিয়ে অধিকাংশ গাড়ি চলে যাচ্ছে। এজন্যে যানবাহনের চাপ কমতে থাকে চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে। ঘাট এলাকার দুই পাড়ের শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁতেও ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে। নেই যাত্রী, চালক ও হেলপারদের কোলাহল। ট্রাকসহ যানবাহনের অপেক্ষার সারি নেই। বাস ও ট্রাকগুলো ঘাটে আসামাত্রই সরাসরি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। এতে কোনোরকম ভোগান্তি ছাড়াই নদী পার হতে পারছেন ট্রাক চালক ও যাত্রীরা। তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যায় অনেক যাত্রী ও চালকদের। ফেরিঘাটে যাত্রী ও গাড়ি দুটোই কমে গেছে বলে জানিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।

হরিণা ঘাটে চট্টগ্রাম থেকে খুলনাগামী ট্রাক চালক রবিউল (৪৫)-এর সাথে কথা হয়। তিনি চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, গাড়ি যেগুলো আসছে, সব ক’টি এসেই ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। সকাল থেকেই ঘাটে গাড়ির কোনো চাপ নেই। এতোদিন ফেরি পার হতে ঘাটে প্রায় ১০ থেকে ১২ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণেই নৌরুটে যানবাহনের চাপ অনেক কমে গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)-এর চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটে কর্মরত ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে সেতু দিয়ে গাড়ি পার হচ্ছে। ফলে এই নৌরুটে চাপ কমে গেছে। রুটে ৮টির মধ্যে ৩টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ নেই বলে অন্য ফেরিগুলো ঘাটে রাখা আছে। আর হাতেগোণা ক’টি যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে।

তিনি জানান, আগে এ রুটে দেড় থেকে দুশ’ যাত্রীবাহী বাস ফেরি পার হতো। এখন দিন-রাতে ১০/১২টি বাসও পার হয় না। ব্যক্তিগত গাড়ি এবং পণ্যবাহী গাড়ির পরিবহন প্রায় ৬০ ভাগ এবং যাত্রীবাহী বাস ৯০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। কমে গেছে রাজস্ব আয়ও।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়