প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
সামান্য বৃষ্টিতেই যানবাহন দূরে থাক জনচলাচলেরই অনুপযোগী হয়ে যায় মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর বাজারের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো। যানবাহন-পথচারী-শিক্ষার্থী সকলেই চরম ভোগান্তিতে পড়েন বৃষ্টির এ সময়টাতে। নারায়ণপুর বাজারের প্রতিটা সড়ক যেনো মানুষের ক্ষত-বিক্ষত শরীর। রাস্তাগুলোর পিচ নষ্ট হয়ে গেছে। ইট ও পাথরের কণা উঠে গেছে। ছোট-বড় গর্তে জমে থাকা বৃষ্টির পানির সাথে কাঁদামাটি মিশ্রিত হয়ে নষ্ট করে দেয় পথচারী-ক্রেতা সাধারণের জামা-কাপড়। এমন ভোগান্তি এবং দুর্দশা অবস্থার কারণে ঐতিহ্যবাহী এ বাজারের প্রতি দিন দিন মানুষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে বলে বিক্রেতাদের অভিযোগ।
নারায়ণপুর বাজারের রাস্তার বেহাল দশার কারণে ক্রেতাণ্ডবিক্রেতাদের মতো স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরাও চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। কারণ নারায়ণপুর বাজারের উত্তর পাশে দুটি উচ্চ বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজারের অভ্যন্তরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কিন্ডারগার্টেন, বাজারের দক্ষিণ পাশে নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ এবং সামান্য দূরত্বে বাজারের দুই পাশে দুটি ফাযিল মাদ্রাসাসহ একাধিক কওমী মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষকদের নারায়ণপুর বাজারের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো ব্যবহার করে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের পরনের কাপড় বাজারের রাস্তায় চলাচলকারী সিএনজি অটোরিকশার চাকার পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। এজন্যে বাজার সংশ্লিষ্টদের নিকট শিক্ষার্থী ও ক্রেতা সাধারণের একান্ত দাবি, বাজারের রাস্তাগুলো যেনো দ্রুত সংস্কার করা হয়।
একই অভিযোগ বাজারের ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা এখানে ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রতিটি দোকানে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু তাদের বক্তব্য হলো, বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্রেতা সাধারণ বাজারের একটি সুন্দর পরিবেশ প্রত্যাশা করে। যদি তারা তা না পায় তাহলে এই বাজারের প্রতি মানুষ আগ্রহ হারাবে। বিশেষ করে বাজারের পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ মূল এবং শাখা রাস্তাগুলোর সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন।
অপরদিকে বাজারটির পানি নিষ্কাশনের জন্যে বাজার সংলগ্ন বোয়ালজুড়ি খাল ও ছোট খাল থাকা সত্ত্বেও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে বাজারের অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এর থেকে উত্তরণের জন্যে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণের দাবি বাজার ব্যবসায়ীদের।
এ ব্যাপারে কথা হয় নারায়ণপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম স্বপন মজুমদারের সাথে। তিনি বলেন, বাজার উন্নয়নের জন্যে আমার নিকট কোনো ধরনের বরাদ্দ নেই। বাজারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাহারাদারের বেতন দিতেই আমাকে হিমশিম খেতে হয়। তিনি আরও বলেন, নারায়ণপুর বাজারের যে অংশ যে ইউপি চেয়ারম্যানের আওতায় তিনি ওই অংশের উন্নয়নের কাজ করবেন।