প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য দীর্ঘদিনের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের বেশ কয়েকবার অভিযানের পরেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না।
কর্মচারী পরিচয়ে দালালরা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছিল। এসব কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন চিকিৎসা সেবা কাজে নিয়োজিত কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে এপ্রোন দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে এপ্রোন পরে আসা তাদের বাধ্যতামূলক।
২৮ আগস্ট রোববার সকালে হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগ ও বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষে এপ্রোন পরা আউট সোর্সিং কর্মীদের পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ৫৮ জন কর্মচারী আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ করছেন। এর মধ্যে সকাল ৮টা থেকে আট ঘণ্টা কাজ করেন ২৬ জন। পরের ৮ ঘণ্টা করে ১৬ জন কর্মী দুই শিফটে কাজ করেন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, দালালের সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমি ১১ মাস দায়িত্বে আছি। দালাল নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময়ে অভিযান হলেও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে আউট সোর্সিংয়ে কাজ করা কর্মচারীদের চিহ্নিত করতে এপ্রোনের ব্যবস্থা করেছি। গত এক সপ্তাহ এপ্রোন পরা চালু হয়েছে। কোনো কর্মচারী এপ্রোন না পরে কাজে এসে অভিযানে আটক হলে আমাদের কোনো সুপারিশ থাকবে না। সূত্র : বাংলা নিউজ ২৪।