মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মতো সাংবাদিকদের মধ্যে গ্রুপিং থাকবে কেন?
মাহবুব আলম লাভলু ॥

মতলব উত্তর উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক একেএম গোলাম নবী খোকন। তিনি জাতীয় দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশের মতলব প্রতিনিধি, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার, অনলাইন চাঁদপুর রিপোর্টারের বিশেষ প্রতিনিধি, অনলাইন আজকের চাঁদপুর ও বাংলা নিউজ ২৪ ডটকমের প্রতিনিধি। তিনি প্রায় ২৯-৩০ বছর যাবৎ পত্রিকায় সময় দিয়ে আসছেন। তিনি মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবে প্রায় ৫-৬ বছর সেক্রেটারী ছিলেন, ২ বছর সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন, এখন সদস্য হিসেবে আছেন।

একেএম গোলাম নবী খোকন ‘সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের ভাবনা’ শিরোনামে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের মাঝে ঐক্য নেই, যার যার হাতে সে সে সাড়ে তিন হাত । তার সাক্ষাৎকারটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো।

দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠ : আপনার উপজেলায় সাংবাদিকতা অতীতের সকল সময়ের চেয়ে কি গতিশীলতা পেয়েছে? গতিশীলতা পেলেও কি মান রক্ষা হচ্ছে?

একেএম গোলাম নবী খোকন : গতিশীলতাই তো নেই, মান রক্ষা হবে কী করে ?

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : পত্রিকাগুলোর প্রিন্টিং সংস্করণের পাঠক এবং টিভি সংবাদের শ্রোতাণ্ডদর্শক দিনদিন কমছে। কারণ কী? এমনটি রোধের উপায় কী?

একেএম গোলাম নবী খোকন : এর কারণ যেটি আমি মনে করি, ঘটনা/দুর্ঘটনা যা হোক, আমরা নিউজ করি। এ নিউজটা অনলাইনে পাঠালে ইচ্ছা করলে ৫ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যে প্রকাশ হয়ে যায়, আর টিভিতে একটি সময়সীমার প্রয়োজন হয়, আর একদিন পর পত্রিকায় প্রকাশ হয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে, এখন সকলের কাছে টাচ মোবাইল, কী-না আছে মোবাইলে, সবার আগে সব খবর পেয়ে যায় পাঠকবৃন্দ। সেজন্যে অনেকেই টিভি, পত্রিকায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। এগুলো রোধের উপায় অনেক কঠিন। পূর্বে সত্যের জমানা ছিল, এখন তো সবই কিয়ামতের আলামত। তবে সত্যের জমানা আবার একদিন আসবে, অপেক্ষা করতে হবে। এগুলো রোধ করতে হলে সকলের মনোযোগী ও সচেতন হতে হবে।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : আজকাল গণমাধ্যম কর্মীদেরকে বিভিন্ন মহল প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করতে চাইছে। অনেকে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় ব্যবহৃতও হচ্ছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য/বিভাজন থেকে এমনটি হচ্ছে। আপনার অভিমত কী?

একেএম গোলাম নবী খোকন : নীতি-নৈতিকতা ও সততা এটি হলো ইসলাম তথা সাংবাদিকতার মূল চাবিকাঠি। এ পেশায় নিজ স্বার্থ যতদিন না পর্যন্ত কেউ বিসর্জন দিতে না পারবে, ততদিন পর্যন্ত সকলের এ কাজে গিয়ে পস্তাতে হবে। আমি আর আপনি ভাল হয়ে লাভ কী? এক বালতি দুধের ভিতর এক ফোঁটা চনা (গোমূত্র) পড়লে ঐ দুধের আর দাম থাকে না। আরেকটি কথা হলো, সাংবাদিকদের যে নীতিমালা, যতদিন না আমরা এগুলো ফলো করবো, ততদিন পর্যন্ত সমাজে অপমানিত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় দেখি না। এ পেশাটি হচ্ছে সর্বোচ্চ সম্মানজনক পেশা, এ পেশায় যারা আসার কথা তারা আসে না। আর এ পেশায় আসলে পুঁজি লাগে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হয়। আর আমরা আসি বিনা পুঁজিতে, সেজন্যে মানুষের কাছে আমাদের হাত পাততে হয়।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : সংবাদ পরিবেশনে তাৎক্ষণিকতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অনলাইন সাংবাদিকতার জোয়ার। এতে কেউ কেউ অপসাংবাদিকতার সুযোগ বা আশ্রয় নিচ্ছে। সকল সংবাদের ক্ষেত্রে কি তাৎক্ষণিকতা জরুরি? আপনার মতামত জানতে চাই।

একেএম গোলাম নবী খোকন : সংবাদ পরিবেশনে সকল নিউজের ক্ষেত্রে কিন্তু অনলাইনে নিউজ দেওয়া জরুরি নয়। কারণ আমরা আজকে নিজ স্বার্থ হাসিল করার জন্যে কিছু প্রোটোকল নিউজ প্রকাশ করে দেই। আবার এমন কোনো নিউজ আছে, অনুসন্ধানী, সাক্ষাৎকার এগুলো অনলাইনে জরুরি নয়। আর জোয়ারটা হলো, আমি আপনি নিউজটা পাঠালে, পাঠানোর ৫/৬ মিনিট পর প্রকাশ হয়। নিউজ অনলাইনে প্রকাশ হয়ে যায় সবার আগে। আবার এ নিউজ আমরা পাঠক সমাজকে দেখিয়ে আকৃষ্ট করে ফেলি। এর ফলে আমাদের রোজী-রোজগারের সুযোগ হয়। ধুমধাম চলা যায়।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্ন সমূহের বাইরেও আপনার কোনো বক্তব্য থাকলে প্রদান করতে পারেন।

একেএম গোলাম নবী খোকন : একটি বিষয় হলো, আমাদের মাঝে ঐক্য নাই, যার যার হাতে সে সে সাড়ে তিন হাত। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে, এখন রাজনীতিতেও গ্রুপিং, ঐটা দেখে দেখে সাংবাদিকরা মানে আমরাও ঐ কাজটা এখন করছি। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মাঝে গ্রুপ থাকুক বা থাকতে পারে, সাংবাদিকদের মধ্যে এটা হবে কেন ? এটা কোন্ বিধানে আমরা পেয়েছি ? একটি বিষয় অনেক সংবাদকর্মী জানে না তার কাজটা কী, কার সাথে কীভাবে বসবে, কথা বলবে, ভদ্রতা-নম্রতা, সম্মান, নীতি-নৈতিকতা ও সততা। এগুলো এখন আমাদের মধ্যে নেই। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, প্রেস ইনিস্টিটিউট (পিআইবি) বলছে, সাংবাদিকরা মানুষের কাছে পয়সা চায়। এর কারণ কী? বিশেষ আর কী?

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়