মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে ইটভাটা ও নূতন বাড়ি গিলে খাচ্ছে ফসলি জমির মাটি!
এমরান হোসেন লিটন ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ফসলি জমির মাটি গিলে খাচ্ছে ইটভাটা ও নূতন বাড়ি নির্মাণ কাজের উদ্যোক্তারা। ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি যাচ্ছে ইটভাটা, বাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে। অসহায় কৃষকদের আর্থিক সংকটের সুযোগ নিয়ে প্রভাবশালী মহলের কতিপয় লোকজন এ মাটির ব্যবসার সাথে জড়িত।

তবে এসব বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন অনেকটাই নীরব। প্রশাসন জেনেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকার সুধী মহলের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন। এখানে তিন ফসলি জমি থেকে জমির উপরিভাগের ৩ ফুট মাটি ‘টপ সয়েল’ চলে যাচ্ছে ইটভাটা ও বাড়ি নির্মাণ কাজে। নানা কৌশলে কৃষকদের কাছ থেকে এসব মাটি কিনে নিচ্ছে। আবার মাটি বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করলে অসহায় কৃষকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এতে করে কমছে জমির পরিমাণ। মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা হ্রাসসহ ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।

অন্যদিকে জমির মাটি আনা নেয়ার কাজে বর্ষা মৌসুমে নৌকার ব্যবহারে মেতে উঠেছে মাঝিরা। এরা জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর হয়ে রাত দিন জেগে থাকে কখন নৌকায় মাটি ভরাট করে ব্রিকফিল্ডে পৌঁছে দিবে। মাটি কাটায় নৌকা ব্যবহার করতে গিয়ে বিভিন্ন খালের দুপাড়ের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি ক্ষতিসাধনের খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টরের দানবীয় চাকায় পিষ্ট হচ্ছে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের রাস্তাঘাট। সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে ইটভাটার মালিকগণ নির্বিঘেœ তাদের এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে একদিকে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের, অন্যদিকে দীর্ঘ সময় থেকে সংস্কার না হওয়া উপজেলার রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

৩নং সুবিদপুর ও ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের একাধিক কৃষক জানান, জমির মাটি নেয়ায় জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। তারা বলেন, প্রভাবশালী মহলের দালাল চক্রটি গ্রামগঞ্জে হেঁটে হেঁটে অসহায় দরিদ্র কৃষকদের টাকার লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে মাটি কিনে নিচ্ছে। এতে করে জমির শ্রেণির পরিবর্তনও হচ্ছে।

গত ক’দিনে সরজমিনে গিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ১নং বালিথুবা ইউনিয়ন থেকে ৫নং গুপ্টি ইউনিয়ন পর্যন্ত স্থাপিত অবৈধ ব্রিকফিল্ডগুলোতে নৌকার মাধ্যমে শেষ রাত থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি ব্রিকফিল্ডে আনতে দেখা যায়। এ সময় একাধিক ব্রিকফিল্ডের মালিক এবং ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে চাইলেও তারা এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে অনীহা প্রকাশ করে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ জানান, এ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির লোক ইটভাটা ও বাড়ি নির্মাণে ফসলি জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছে। এতে উৎপাদন ব্যাহত হবে। আমরা এ বিষয়ে অবগত আছি এবং উপজেলার মাসিক মিটিংয়ে এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়