‘৭৪-এর দুর্ভিক্ষ মানুষের ঘরে ঘরে নেমে এসেছে। এসবের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতারা ও পুলিশ চায় আমরা আন্দোলন করি। কারণ, ভুক্তভোগী শুধু বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগসহ আমরা সবাই। শুধুমাত্র দুর্নীতিবাজরাই শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছে। ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে বিদায় নিবে আর ২৩ সালে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের নেতারা বুঝে গেছে। সেজন্য পাশর্^বর্তী দেশের কাছে সাহায্য চায় তারা। কিন্তু লাভ নেই। কারণ, ইতিমধ্যে বিদেশিরাও তাদের লাল নোটিশ দেখিয়ে দিছে’। হাজীগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া।

জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা নূরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে কচুয়া সড়কের পাশে মকিমাবাদ গ্রামের মাঠে আয়োজিত সমাবেশে অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া আরো বলেন, রাত পোহালেই দেখবেন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় নেই। সেজন্য নেতার (তারেক জিয়া) নির্দেশ, আপনাদেরকে রাজপথে থাকতে হবে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেয়া হবে। যারা মামলার শিকার হয়েছেন, তাদের মামলা তুলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। আর যারা গায়ে (শরীর) হাত দিয়েছে। তাদের বিচার করা হবে।

আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সবকিছু আজ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। তিনি হাজীগঞ্জের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির প্রশংসা করেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিঃ মমিনুল হক। তিনি তাঁর বক্তব্যে নেতা-কর্মীদের রাজপথে থাকার নির্দেশনা এবং ইভিএমের মাধ্যমে ভোট বাতিলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, এসএম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ রফিক সিকদার, কাজী রফিকুল ইসলাম ও মোস্তফা খান সফরি, কেন্দ্রীয় ওলামা দলের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মাওঃ নজরুল ইসলাম, মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। পৌর বিএনপির সভাপতি নাজমুল আলম চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠ থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক ধরে শহীদ আলী আজ্জম সড়ক ধরে কচুয়া সড়কের পাশে সমাবেশে মিলিত হয়।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম পাটওয়ারীর সঞ্চালনায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ইমাম হোসেন, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, পৌরসভা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম ভুট্টু প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল খায়ের মজুমদার, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন দুলাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সেলিম, সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসাইন বেলাল, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম চৌধুরী মিঠু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মজিবুর রহমান, সদস্য সচিব ইকবাল সর্দার, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইমাম হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এসএম ফয়সাল হোসেন, সদস্য সচিব জুয়েল রানা তালুকদার, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবু ইউছুফ, সদস্য সচিব দ্বীন ইসলাম টগর, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম হীরা, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানাসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কয়েক সহস্রাধিক নেতা-কর্মী ও সমর্থক।