প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কচুয়া উপজেলার রহিমানগর-ভাতেশ্বর রাস্তার বেহাল দশা বিরাজ করছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ রাস্তাটি কচুয়া ও বরুড়া উপজেলার সংযোগকারী রাস্তা হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কচুয়া উপজেলার দক্ষিণ-পূর্বাংশের অধিবাসীরা ছাড়াও বরুড়া উপজেলার পশ্চিমাংশের লোকজন এ রাস্তা ধরেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। প্রতিদিন এ রাস্তায় চলাচল করছে শত শত সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, অটোবাইক, ট্রাক ও মোটরকারসহ বিভিন্ন যানবাহন।
এ ব্যস্ততম রাস্তায় মাত্র দুই বছর পূর্বে মেরামত কাজ করা হয়। রাস্তাটি মেরামতের কয়েক মাস যেতে না যেতেই বিভিন্ন স্থানে গর্ত সৃষ্টি শুরু হয়। বিশেষ করে রহিমানগর হতে খিলা গ্রামের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত (হাবিব মিয়ার দোকান পর্যন্ত) ১ কিলোমিটার রাস্তার অংশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ভগ্নদশার রাস্তার এ অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে সম্পূর্ণ দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিনই গর্তময় রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে যাত্রী সাধারণ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সাতবাড়িয়া গ্রামের ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খিলা গ্রামের সোহাগ মিয়া ও মতাতাজ উদ্দিনসহ স্থানীয় বেশ কিছু লোক জানান, রহিমানগর হতে খিলা গ্রামের পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত রাস্তার অংশ মেরামত কাজ অতি নিম্নমানের হওয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে গর্ত সৃষ্টি ও ভাংচুর হয়ে রাস্তাটি যান চলাচলের জন্যে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। অত্যধিক যানবাহন চলাচল করে বিধায় অনূর্ধ্ব-১০ ফুট প্রশস্তের রাস্তাটির দুপাশে আরো অন্তত দুই ফুট করে বাড়িয়ে রাস্তাটি নির্মাণ করা প্রয়োজন।
এ বিষযে কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলিম লিটন জানান, এ ভগ্নদশার রাস্তাটি পুনঃ মেরামত করার জন্যে আরটিআইসি-২ ফলোআপ প্রজেক্টে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।