মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও কাঁচা তরকারির দাম আকাশছোঁয়া
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত, কুমিল্লা বা কারওয়ানবাজার থেকে আনা সকল কাঁচা তরকারির দাম আকাশছোঁয়া রয়েছে। গত রোববার বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক ও সোমবার বিকেলে উপজেলার বাকিলা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিকে গত দুই দিনে কিছুটা কমেছে ডিম ও কাঁচা মরিচের দাম।

খোঁজ নিয়ে ও সরজমিনে দেখা যায়, বিশেষ করে হাজীগঞ্জ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লাউ, লাল শাক, ধুন্দল পর্যাপ্ত পরিমাণ চাষ হয়। অপরদিকে কুমিল্লার নিমসার এলাকা থেকে ডাঁটা, ঢেঁড়স, করলা, লতি, বেগুন আসে। কারওয়ানবাজার থেকে আসে কাঁচা কলা, ফুল কপি, টমেটো ইত্যাদি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাজীগঞ্জ বাজারের একজন তরকারি বিক্রেতা জানান, কারওয়ানবাজার আর কুমিল্লা কিংবা এলাকায় উৎপাদিত তরকারির দাম একই। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তরকারিগুলো দাম কম না হওয়ার মূল কারণ সিন্ডিকেট। স্থানীয় কৃষকরা যে তরকারি উৎপাদন করেন তা বাজারে আনা মাত্রই ব্যবসায়ীরা কিনে নেয়। যে কারণে কারওয়ানবাজার, কুমিল্লা কিংবা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তরকারির বাজার দর একই পড়ে।

জানা যায়, ৩০০ টাকার কেজির কাঁচা মরিচ ২শ’ ৬০ টাকা কেজি আর ডিমের হালি ৩৮ টাকায় নেমেছে।

কাঁচা বাজারে ঘুরে দেখা যায়, পেঁপের কেজি ৩০, ঢেঁড়সের কেজি ৫০ টাকা, বরবটির কেজি ৫০ টাকা, টমেটোর (এলসি) কেজি ১শ’ ২০ টাকা, লাউ (মাঝারি) ১শ’ টাকা, শসার কেজি ৮০ টাকা, লাল শাক (ছোট আঁটি) ২০ টাকা, করলার কেজি ৮০ টাকা। বাজারে আসা শীতের তরকারি সিমের কেজি ১শ’ ৮০ টাকা, কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাকিলা বাজারের ডিমের পাইকারি বিক্রেতা লিটন জানান, ৯শ’ ৬০ টাকায় কিনে হাজার টাকায় ডিম বিক্রি করি।

ভোক্তা অধিকার চাঁদপুর জেলার ডেপুটি ডিরেক্টর নূর হোসেন রুবেল জানান, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও যে সকল ব্যবসায়ী আস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করেছে তাদেরকে আমরা জরিমানার আওতায় নিয়ে আসছি। এ বিষয়ে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এ থেকে আমাদের বাজার মনিটরিংসহ আদালত নিয়মিত পরিচালিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়