রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২২, ০০:০০

চাঁদপুরে রেলওয়ের পরিত্যক্ত গুদামে অগ্নিকাণ্ড

বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা

মিজানুর রহমান ॥

চাঁদপুর রেলওয়ে বড়স্টেশনের পাশে রকেটঘাট সংলগ্ন এলাকায় রেলের পরিত্যক্ত টিনশেড গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ৮ জুন বুধবার সকালে ওই গুদামে ইলিশ মাছ সংরক্ষণ কাজে ব্যবহৃত ককসিটের স্তূপে এই আগুন লাগে। আগুনের কালো ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। পরে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর প্রচেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে। তাতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রক্ষা পেয়েছে।

প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বিআইডব্লিউটিসির রকেটের (স্টিমার ঘাট) পশ্চিম পাশে রেলের পরিত্যক্ত একটি ঘরকে গুদাম বানিয়ে ইলিশ মাছ সরবরাহের ককসিট রেখে ব্যবসা করত স্থানীয় দু-একজন লোক।

এলাকাবাসীর ধারণা, শ্রমিকদের বা পথচারীদের সিগারেটের আগুন থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তারা বলছেন, এই গুদামের আশপাশেই সিলিন্ডার গ্যাস, জ্বালানি তেলের দোকানসহ অন্যান্য অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দিনের আলোতে আগুন লেগেছে, তাই সবাই ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজ করেছে। এই আগুন রাতে লাগলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতো। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতি থেকে ওই এলাকাকে আল্লাহই রক্ষা করেছেন।

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু এর আগেই স্থানীয়রা ডাকাতিয়া নদী থেকে পানি তুলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ কারণে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে মাছ ঘাট, স্টিমার ঘাট ও রেলস্টেশন। তবে কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চাঁদপুর রেলওয়ে বড়স্টেশন মাস্টার সোয়াইবুল সিকদার বলেন, আমাদের ওই পরিত্যক্ত ঘরে কেউ থাকেন না। তবে সেখানে মাছ ঘাটের ব্যবসায়ীরা ইলিশ ও অন্যান্য মাছ সংরক্ষণে ব্যবহৃত ককসিট রাখতেন। পুড়ে যাওয়া ককসিটগুলো কার বা কীভাবে আগুন লেগেছে তা আমার জানা নেই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়